প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, তাদের কোভিড-১৯ এর টিকা যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধেও কার্যকর হবে। এ বিষয়ে পূর্ণ প্রমাণ পেতে তাদের গবেষণা শুরু হয়েছে বলেও জানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ। রয়টার্স।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক প্রতিনিধি ইমেইলে বলেছেন,‘অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় সার্স-সিওভি-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের জেনেটিক উপাদান রয়েছে। আর করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরন শনাক্ত হয়েছে সেটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেটির স্পাইক প্রোটিনের কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন হয়নি।’
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে কেভিড-১৯ সংক্রমণ এবং মৃত্যু দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করেছে। মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে ভাইরাসের নতুন ‘স্ট্রেইন’। যেটি মূল ভাইরাসের চেয়ে ৭০ শতাংশ দ্রুত রোগের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তবে এই নতুন ধরন আগেরটির তুলনায় অধিক প্রাণঘাতী কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ভাইরাসের নতুন ধরনটি নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কেও শনাক্ত হয়ছে। আতঙ্কে ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশ যুক্তরাজ্যের জন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এখন বিশ্বের হাতে একাধিক কোম্পানির টিকা রয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশে টিকাপ্রদান কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই টিকা ভাইরাসের নতুন ‘স্ট্রেইন’র বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে সেটি এখন বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বৃহৎ আকারের ট্রায়ালে দেখা গেছে, এই টিকার দুইটি পূর্ণ ডোজ মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ৬২ শতাংশ কার্যকর। কিন্তু ছোট আকারের আরেকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রথমে অর্ধেক এবং পরে একটি পূর্ণ ডোজ দিলে এটি প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকর। উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে ভারত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরি অনুমোদন দিতে পারে।