শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জুনিয়র নেত্রীকে পেটানোর অভিযোগ ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে
'জয়-লেখক ব্যবস্থা না নিলে ছাত্রলীগের নিশি-শান্তার বিরুদ্ধে মামলা'
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১০ এএম আপডেট: ২৪.১২.২০২০ ২:১৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ

অভিযুক্ত বেনজীর হোসেন ও জিয়াসমিন শান্তা

অভিযুক্ত বেনজীর হোসেন ও জিয়াসমিন শান্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে সংগঠনের এক জুনিয়র নেত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই নেত্রীর নাম ফাল্গুনী দাস তন্বী। তিনি রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং হল সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ছিলেন। মারধরের শিকার নেত্রীর অভিযোগ, মারধরের পর তাঁর মুঠোফোনও ছিনতাই করা হয়েছে৷ তবে অভিযুক্ত দুই নেত্রী দাবি করেন, তাঁরা তাঁকে ‘শাসন’ করেছেন।

গত সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷ মারধরের শিকার নেত্রী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস আর অভিযোগ ওঠা দুই নেত্রী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেন৷ এই ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ফাল্গুনী দাস৷


ফাল্গুনী দাস বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় আমি বেনজীরের ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের অভিযোগ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলাম। কোনো একটি মাধ্যমে সেটি জানতে পেরে সোমবার রাত ১২টার দিকে আমাকে ফোন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের সামনে যেতে বলেন বেনজীর৷ সেখানে তাঁর সঙ্গে জিয়াসমিন শান্তাও ছিলেন। আমাকে নানান জিজ্ঞাসাবাদ ও মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা৷ একপর্যায়ে তাঁরা আমাকে মারতে উদ্যত হলে আমি সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসার চেষ্টা করি৷ বেনজীর ও জিয়াসমিন আমাকে পেছন থেকে ধাওয়া করেন৷ আইন অনুষদের কাছে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে তাঁরা আমাকে ধরে ফেলেন এবং মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন৷’

ফাল্গুনী বলেন, ‘মারধরের সময় বেনজীর ও জিয়াসমিনের সঙ্গে দুজন ছেলে তাঁদের সহায়তা করেন। জিয়াসমিন আমার পায়ে জোরে চাপ দিয়ে ধরে রাখেন আর বেনজীর আমাকে এক পা দিয়ে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারছিল৷ তিনি আমার গলায় পা দিয়ে চাপও দেন, এতে আমার গলা দিয়ে রক্ত বের হয়৷ তাঁরা আমার মুখও খামচে দেন৷ রাস্তায় পড়ে গিয়ে আমার হাত-পা ও মাথায় আঘাত লেগেছে৷ বেনজীরের অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহ জালাল আমার মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেন৷ খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও দায়িত্বরত পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে৷ পরে আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই ৷ আমি ঘটনাটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছি৷ ছাত্রলীগ ব্যবস্থা না নিলে আমি মামলা করব।’

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত বেনজীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ফাল্গুনী তাঁদের সঙ্গে ‘বেয়াদবি’ করেছিলেন, তাই তাঁরা তাঁকে ‘শাসন’ করেছেন৷ ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ হয়েছিল, পরে ‘সমাধান করে’ নিয়েছেন৷

আর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা শাহ জালাল দাবি করেন, মুঠোফোন ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন৷

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি৷ আমরা মারধরের অভিযোগটির তদন্ত করে দেখব৷ সত্যতা পেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]