শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শেখ হাসিনার বিদ্যুতে আলোকিত বাংলাদেশ
#বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে আমরা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছি: ড. সেলিম মাহমুদ। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিদ্যুৎ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি: প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। #বিদ্যুৎখাতে সরকারের সুশাসন আজ আমরা প্রতি মুহূর্তে দেখতে পারছি: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন।
সিনিয়র প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত দুই মেয়াদের সাফল্যের অন্যতম প্রধান খাত বিদ্যুৎ। ইতোমধ্যে ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসছে। চলতি ডিসেম্বরেই বাকিদের বিদ্যুতের আওতায় আনার মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হবে। তবে অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় ১ হাজার ২৫টি গ্রাম রয়েছে। এসব এলাকায় আড়াই লাখ গ্রাহক রয়েছে। তাদের আগামী মার্চের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। 

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৯৭ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সিআইপিএনজেত, এফআইইবি, অনারারি কনস্যুল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ড কনস্যুলেট এবং সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়নের ধাঁরা বইছে তা আমরা সব সেক্টরে দেখতে পারছি। আর এই উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির উন্নয়ন। এনার্জি ইকোনমিতে একটা প্রিন্সিপাল আছে যে, আমাদের মত এই রকম গ্রো ইকোনমির দেশে প্রতি বছর জিডিপি বাড়াতে হয়। ২০০৮ এর নির্বাচনের পরে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের ক্ষমতা নিলেন তখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক ছিল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তার আগে আমি আরও একটি কথা বলতে চাই, আজকে যে দেশের উন্নয়ন ও জ্বালানীর পিছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক অবদান ছিল। যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দীর্ঘ সংগ্রামের পর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলাম তখন তার নির্দেশে যে সংবিধান প্রণয়ন হচ্ছিলো সে সংবিধান কমিটি গঠনে তিনি একটা গাইড লাইন দিয়েছিলেন কিছু কিছু বিষয় এতে সন্নিবেশিত করার জন্য। তিনি দেখেছিলেন যে, পঞ্চাশের দশক, ষাটের দশকের সময় যেসব দেশ যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল তারা রাজনৈতিকভাবে, ভৌগোলিকভাবে স্বাধীনতা পেয়েছিল ঠিকই কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে তেমন স্বাধীনতা পাইনি। আমাদের দেশের অবস্থাও ঠিক এমন ছিল সে সময়। অনেক দেশেরই জ্বালানী খাত গুলো বাইরের দেশের কাছে ইজারা প্রথার মাধ্যমে জিম্মি ছিল। তাই বঙ্গবন্ধু সেই বিদেশী শোষণনীতি নিজের দেশে বন্ধ করার জন্য আমাদের সংবিধানের ১৪৩নং অনুচ্ছেদে সংযোজন করলো। এটা সংযোজন করার পরে বাংলাদেশের যত ন্যাচারাল রিসোর্স আছে সে সকল রিসোর্সের মালিক হবে রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক এই বিধান সংবিধানে সংযোজন করার ফলে বিদেশী কোম্পানির অনুকূলে যে ইজারা ভিত্তিক মালিকানা ছিল সেটাকে গ্রহিত করা হলো। মূল জ্বালানীর নিরাপত্তার স্তম্ভ তিনি গড়ে গিয়েছিলেন এই ১৪৩নং অনুচ্ছেদের সংযোজনের ফলে। এই ১৪৩নং অনুচ্ছেদ তার অন্যতম পিলার ছিল। তারপর তিনি যে কাজটি করলেন ১৯৭২ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের তেল-গ্যাস-খনিজ অধিক্ষেত্রের পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি প্রতিষ্ঠান করেছিলেন সেটা হলো খনিজ ও তেল গ্যাস কর্পোরেশন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন বিদ্যুৎ ৩২ শত মেগাওয়াট। বর্তমানে তা ছাড়িয়ে গেছে বহু গুনে যা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সাফল্যের। আমার মনে হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে আমরা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমান সরকারের অতুলনীয় অভূতপূর্ব সাফল্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সারাদেশে ইকোনমিক জোন করা হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ। গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে। সব সুযোগ-সুবিধা যাতে সেখানে পাওয়া যায় সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। শহর আর গ্রামের মধ্যে যেন পার্থক্য না থাকে, গ্রামের মানুষ যেন শহরের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিক খেয়াল রাখা হচ্ছে এই সরকারের আমলে।

প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু)  বলেন, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই সঞ্চালক সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ সাহেবকে যে, তিনি এতো সুন্দর ও তথ্যভিত্তিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন। আমি জুম ভিত্তিক অনেক টকশো করি এবং আমার দেখা এখন পর্যন্ত সেরা সঞ্চালক তিনি। আজকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ড. কাজী এরতেজা হাসান সাহেবকেও আমাকে এতো সুন্দর একটি সংলাপে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। বিদ্যুৎ সেক্টর নিয়ে কথা বলতে গেলে শুরুতে বলতে হবে একসময় লোডশেডিং এর মাত্রা এমন ছিল যে আমি নিজেও ভাবতাম এইরকম পরিস্থিতি থেকে হয়তো আমাদের কখনো উত্তরণ হবে না। কিন্তু আমাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার সৎ, সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে আজ একটা চরম অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছ এই কারণে যে আজ আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়নের দিকে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিবেশী দেশের অবস্থান থেকে আজ আমাদের অবস্থা কেমন তা তুলনা করলেই বুঝা যাবে। তারা এখন অনেক পিছিয়ে আছে আমাদের থেকে। ২০০৮-০৯ সালে বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে লোডশেডিংয়ের দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাদের মনে আছে। কিন্তু তার পরের ১০ বছরে বিদ্যুতের উৎপাদনক্ষমতা ৫ হাজার মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে। এটা একটা বড় দৃশ্যমান সাফল্য। এ দেশে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতো এবং ইন্ডাস্ট্রি চালাত এক সময় বিদ্যুতের জন্য তাদের মধ্যে হাহাকার ছিল। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই একটা দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমান সরকারের একক প্রচেষ্টায় সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন বিদ্যুতের অবস্থা খুব করুণ ছিল। তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে বিদ্যুতের উন্নয়নে কাজ শুরু সরকার। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে গ্যাস আছে সেখানে গ্যাস দিয়ে আর যেখানে কয়লা আছে সেখানে কয়লা দিয়ে উৎপাদন করেছে। আজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে, বড় বড় প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। মাতারবাড়িতে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের কাজ চলছে। এসবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে।

অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্যই দেশে হাজারও উন্নয়ন হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটি উন্নয়ন ঘটিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছু দিন পর মেট্রোরেল হতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকে না। খাদ্যে বর্তমানে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। মাথাপিছু আয় এখন দুই হাজার ডলারের ওপরে। মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে। করোনা মহামারিতে দেশকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছেন তাতে কেবল দেশের মানুষের কাছেই নয়, গোটা বিশ্বই এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসা করছেন। অতীতে বিএনপি সরকারের সময় বাংলাদেশ টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সঠিক নেতৃত্বের অভাবে বিএনপি সরকারের সময় দেশে লুটপাট হয়েছিল। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বিএনপি’র মতো আমরা আর কখনও দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হতে চাই না। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশের বিদ্যুৎ খাতকে যেভাবে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল তা নজিরবিহীন, যা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায়নি। বিএনপি-জামায়াতের সময়ে সিস্টেম লস ছিল ৪৪ শতাংশ। এখন অনেক ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। বিদ্যুৎখাতে সরকারের সুশাসন আজ আমরা প্রতি মুহূর্তে দেখতে পারছি। সরকারের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং তা বর্তমান সরকার অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যত হতে থাকবে ভবিষ্যতে বিদ্যুতে যতটা খরচ হবে ততটাই তাদের প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে  বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে আমাদের। আমাদের যে চলমান অর্থনীতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও নির্দেশে এই করোনা মুহূর্তে আজকে আমাদের জিডিপি গ্রোথ ৫.২৪%, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার এবং ক্যাপিটাল জিডিপি ১৯৭০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৬৫%। রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান এই মুহূর্তে অষ্টম। এবং আমি অত্যন্ত আশাবাদী এই মুজিব শতবর্ষে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৫০বিলিয়ন অতিক্রম করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]