বিদ্যুৎখাতে সরকারের সুশাসন আজ আমরা প্রতি মুহূর্তে দেখতে পারছি: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত দুই মেয়াদের সাফল্যের অন্যতম প্রধান খাত বিদ্যুৎ। ইতোমধ্যে ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসছে। চলতি ডিসেম্বরেই বাকিদের বিদ্যুতের আওতায় আনার মাধ্যমে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হবে। তবে অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় ১ হাজার ২৫টি গ্রাম রয়েছে। এসব এলাকায় আড়াই লাখ গ্রাহক রয়েছে। তাদের আগামী মার্চের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৯৭ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সিআইপিএনজেত, এফআইইবি, অনারারি কনস্যুল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ড কনস্যুলেট এবং সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্যই দেশে হাজারও উন্নয়ন হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটি উন্নয়ন ঘটিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছু দিন পর মেট্রোরেল হতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকে না। খাদ্যে বর্তমানে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। মাথাপিছু আয় এখন দুই হাজার ডলারের ওপরে। মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে। করোনা মহামারিতে দেশকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যেভাবে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছেন তাতে কেবল দেশের মানুষের কাছেই নয়, গোটা বিশ্বই এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসা করছেন। অতীতে বিএনপি সরকারের সময় বাংলাদেশ টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সঠিক নেতৃত্বের অভাবে বিএনপি সরকারের সময় দেশে লুটপাট হয়েছিল। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। বিএনপি’র মতো আমরা আর কখনও দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হতে চাই না। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশের বিদ্যুৎ খাতকে যেভাবে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল তা নজিরবিহীন, যা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায়নি। বিএনপি-জামায়াতের সময়ে সিস্টেম লস ছিল ৪৪ শতাংশ। এখন অনেক ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। বিদ্যুৎখাতে সরকারের সুশাসন আজ আমরা প্রতি মুহূর্তে দেখতে পারছি। সরকারের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং তা বর্তমান সরকার অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যত হতে থাকবে ভবিষ্যতে বিদ্যুতে যতটা খরচ হবে ততটাই তাদের প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করতে হবে আমাদের। আমাদের যে চলমান অর্থনীতি জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থা ও নির্দেশে এই করোনা মুহূর্তে আজকে আমাদের জিডিপি গ্রোথ ৫.২৪%, মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার এবং ক্যাপিটাল জিডিপি ১৯৭০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৬৫%। রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান এই মুহূর্তে অষ্টম। এবং আমি অত্যন্ত আশাবাদী এই মুজিব শতবর্ষে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৫০বিলিয়ন অতিক্রম করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।