ট্রাম্প মার্কিন নির্বাচনে হেরেছেন। এবার তার গদি ছাড়ার পালা। এই বিদায়ক্ষণে ‘বিশেষ বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদিকে পুরস্কৃত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘লিজন অব মেরিট’-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ভূষিত করেছে মার্কিন সরকার। হোয়াইট হাউসে নরেন্দ্র মোদির হয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতের দূত তরণজিৎ সিংহ সাঁধু। তার হাতে স্মারক তুলে দেন বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট সি ও’ব্রায়েন।
মোদি ও ট্রাম্পের বিশেষ বন্ধুত্বের কথা অজানা নয়। গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমেরিকার মাটিতে আয়োজিত ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প ভারতে গেলে তার জন্য মোদি আয়োজন করেন ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের। পুরস্কার গ্রহণ করার পর মার্কিন প্রশাসনের বিবৃতিতেও সেই বিশেষ সম্পর্কের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত-আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার অবদান হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মানে ভূষিত করছেন’। সেই সঙ্গেই বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারতের উত্থানে মোদির অটল নেতৃত্ব ও সদর্থক ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইট করে লিখেছেন, ‘এই পুরস্কার আর সম্মানই দু’দেশের সম্পর্কের দৃঢ়তার প্রমাণ।’
মোদির সঙ্গেই একই সম্মান পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের একক আধিপত্য খর্ব করতে এবং ওই এলাকার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া-জাপানের সঙ্গে কোয়াড গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এই কাজের জন্যই নিজের তিন সঙ্গী দেশের প্রধানকেই এই সম্মান দিলেন ট্রাম্প প্রশাসন। জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতরাও সাঁধুর সঙ্গে এই পুরস্কার নিয়েছেন।
১৯৪২ সালে দেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ‘লিজন অব মেরিট’ দেওয়ার প্রথা শুরু করেছিলেন তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজ়ভেল্ট। পরে বিদেশি সেনাবাহিনীর সদস্য এবং অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও এই সম্মান দেওয়া শুরু হয়। ১৯৪৯ সালে আর এক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যানের কাছ থেকে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন ভারতীয় ফিল্ড মার্শাল কে এম কারিয়াপ্পা।