চাদরে মোড়া তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার হোটেল থেকে। সেই মরদেহকে ঘিরে চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি। কারণ পাশেই পাওয়া গেছে একটি চিরকুট আর তাতে লেখা ‘মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম’।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার নিউটাউনে।
নিউটাউনের একটি হোটেলে চাদর মোড়া তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মদের বোতল ভেঙে সেই ভাঙা কাচ দিয়ে তরুণীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তরুণীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে এবং তার নাম চুমকি ঘোষ।
ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে আর তাতে লেখা হয়েছে, ‘মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম’। তবে এই লেখাটি খুনির কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফ থেকে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ওই হোটেলে এক যুবকের সঙ্গে উঠেছিলেন ওই তরুণী। রাতে তাদের ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় হোটেলের কর্মীদের। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিছানার ওপর থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তরুণীর সঙ্গে যে যুবক এসেছিল সে রাতে হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। ওই যুবক হোটেল রুমে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি ঠিকানা লিখে রেখে যায়। সেই ঠিকানা সঠিক কি না, তা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ওই তরুণী বিবাহিত বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুনের উদ্দেশ্যেই হোটেলে ঘর ভাড়া করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ।