প্রকাশ: বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পিঠা খেতে ডেকে জামাইকে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার সঙ্গে তার স্ত্রীও জড়িত।
সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার মারধরের ঘটনার ধারণ করা একটি ভিডিও দেখিয়ে থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার রাকিবুল ইসলাম নিজেই।
রাকিবুল পাবনার চাটমোহর উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ২০০৮ সালে কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে জুলেখা খাতুনকে তিনি বিয়ে করেন।
গোপনে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাকিবুলের মুখে বালিশ চাপা দেয়া ও হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করছেন তার স্ত্রী জুলেখা খাতুন, শ্যালিকা জায়দা খাতুন ও শ্যালক শামীম হোসেন। এ সময় ভয়ে চিৎকার করছেন রাকিবুল।
নির্যাতনের শিকার রাকিবুলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই জুলেখা কারণে-অকারণে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মারধরের ঘটনাও ঘটে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, মূলত প্রতিশোধ নিতেই তার শ্বশুর সোমবার পিঠা খাওয়ানোর দাওয়াত দেন। পরে রাত ১১টার দিকে তিন সন্তানকে দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে প্রাণে বেঁচে যান।
ঘটনার সময় পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রাকিবুলের শ্যালিকা জায়দা খাতুনের স্বামী মেরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, হঠাৎ রাকিবুলের চিৎকার আমার কানে আসে। এরপর উঠে প্রথমে জানালা দিয়ে গোপনে ভিডিও করি। পরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে রাকিবুলকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় রাকিবুলের স্ত্রী জুলেখা খাতুন বলেন, তাকে মারধর করতেন রাকিবুল। তাই একটা উচিত শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রাকিবুলের শ্বশুর আব্দুল জলিল ও শাশুড়ি ছানোয়ারা বেগম বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা নিজেরাও অনুতপ্ত। এজন্য সন্তানদের যথেষ্ট শাসন করা হয়েছে।
তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।