প্রকাশ: বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজ দল রিপাবলিকান পার্টিকেই হুমকি দিচ্ছেন। তিনি চাপ দিয়ে আইনপ্রণেতাদের নিজের পক্ষে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একদিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন একের পর এক, অন্যদিকে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার বেপরোয়া চেষ্টা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় আরও চার বছরের জন্য থেকে যাওয়ার কথাও বলছেন জোরালোভাবে। টুইট ও ফেসবুক পোস্টে নিজের রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের ওপর চড়াও হয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রিপাবলিকান পার্টিকে ভুলে গেলে চলবে না যে তার সাহায্য ছাড়া সিনেটে দলের আটটি আসন কম হতো। মার্কিন সিনেটে এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার কৃতিত্ব তার নিজের বলেই দাবি করছেন ট্রাম্প।
২০ জানুয়ারির আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টি এখন ৬ জানুয়ারির দিকে। ইলেক্টোরাল কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভোট কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে গ্রহণ করার সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে এদিনটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে এসব সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতায় কখনো বড় ধরনের অঘটন ঘটেনি। এবারের পরিস্থিতি ট্রাম্পের কারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের যৌথ সভায় পদাধিকারবলে সভাপতিত্ব করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে শতাধিক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ইলেক্টোরাল ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আপত্তি উপস্থাপন করবেন। এমন আপত্তি উপস্থাপনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসে তার লোকজনকে নিয়ে একের পর এক সভা করছেন। বিভিন্ন রাজ্যের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে ট্রাম্প শিবির থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বেশ কিছু রাজ্যের ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট নিয়ে কংগ্রেস ও সিনেট সদস্যদের আপত্তি জানানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। এমন আপত্তি জানানোর পর মাইক পেন্স আপত্তির ওপর ভোট গ্রহণের আহ্বান জানাতে পারেন। তখন রিপাবলিকান ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটে পক্ষে বা বিপক্ষে থাকতে হবে।
রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের কাছে ট্রাম্পই এখন মূল নেতা। রক্ষণশীল অন্ধ সমর্থকদের কাছে ট্রাম্পের ভিত্তি খুব শক্তিশালী। রিপাবলিকান পার্টির নেতারা ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিতে অনিচ্ছুক নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কারণেই। দীর্ঘ বিতর্কের মাধ্যমে দিন গড়ানোর পর এ-সংক্রান্ত কোনো বিরোধ নিয়েও ট্রাম্প শিবির থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রয়াস রয়েছে। ৬ জানুয়ারিতে কংগ্রেসে কোনো জট পাকানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে থেমে যাবেন, তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
উল্লেখ্য, মার্কিন কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমও ধারণা করতে পারছে না যে, কে এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরেক দফা হোয়াইট হাউসে থাকতে পারার সম্ভবনার কথা বলছেন। পলিটিকো।