সিলেটে পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে সড়ক পথে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সিলেট থেকে অভ্যন্তরীণ ও দুরপাল্লার রুটে কোন ধরণের যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এতে বিপাকে পড়েন বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে অনেক যাত্রীকে ফেরত যেতে দেখা যায়।
তবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদ মাধ্যম ও জরুরী পরিবহন ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া- এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বেলা)-এর দায়ের করা একটি রিটের প্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে সব ধরণের যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত।
সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। এবার তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশ করার পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা।