প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
উত্তর কোরিয়ার কারাবন্দিদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করিয়ে হত্যা করা হচ্ছে । এরপর তাদেরকে মাটিচাপা দিয়ে সার তৈরি করে সেগুলো ফুল চাষের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবির বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়া।
কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়া একটি প্রতিবেদনে জানায় দাবি করছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের নির্দেশে দেশটি থেকে পালিয়ে যেতে চাওয়া ব্যক্তিদের আটক করে জোরপূর্বক শূকর পালনে বাধ্য করানো হচ্ছে। সেখানে তাদেরকে দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করানো হচ্ছে । এরপর ওই কয়েদিদের মৃত্যু হলে তাদের দেহ থেকে তৈরি করা হচ্ছে সার।
এরকম একটি গোপন ক্যাম্পের খোঁজও পেয়েছে কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়া। এটি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিংইয়ং থেকে ৩০ মাইল দূরে অবস্থিত।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্য চংসান ১১ নম্বর নামের ক্যাম্পটিতে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যাতে চাওয়া ব্যক্তিদেরকে আটক রাখা হচ্ছে। এই ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা কারাবন্দিরা জানিয়েছে যে প্রায় ২ হাজার রাজনৈতিক বন্দিও কারাগারটিতে রয়েছেন।
পালিয়ে আশা এক কারাবন্দি জানান, মাটিচাপা দেওয়া মরদেহগুলো প্রাকৃতিক সারের মতো কাজ করে। সেই সার দিয়েই লাল রংয়ের আজালিয়া ফুল চাষ করা হয়।
কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়ার জ্যেষ্ঠ ছবি বিশ্লেষক জোসেফ এস বার্মুডেজ জুনিয়র বলেন, দ্য চংসান ১১ নম্বর ক্যাম্পটি অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত। এখানকার কারাবন্দিদের সরাসরি মাংস, মাছ এবং লবণ উৎপাদনে কাজে লাগানো হয় ।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এমন ক্যাম্পের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।