প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:১৪ পিএম আপডেট: ২২.১২.২০২০ ৩:২০ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
সর্বোচ্চ
নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের সময়। ডিএমপি
হেডকোয়ার্টার্সে ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২০ উদযাপন’ উপলক্ষে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে এক সমন্বয় সভায় গত
সোমবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান
পালন করা হচ্ছে সীমিত আকারে। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় লন্ডনে চলছে গ্রেড-৪
লকডাউন। তাই বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে পালিত হবে সকল
প্রকার অনুষ্ঠান। ডিএমপি কমিশনার জানান, বড়দিন উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা
প্রদান করা হবে চার্চে। পাশাপাশি অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা
করা হবে খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে। ভালো হবে
চার্চগুলোতে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন
করলে। ইংরেজি নববর্ষে নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উন্মুক্ত
স্থানে কোনোপ্রকার লোকসমাগম ও পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলে ডিজে
পার্টির নামে কোনো স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায়
রেখে সীমিত আকারে হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
তবে কোনো ক্রমেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না। হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের
কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজট না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের
অনুষ্ঠান করা যাবে না। থার্টি ফার্স্টে সন্ধ্যা থেকে বারগুলো বন্ধ থাকবে।
সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। তবে
যথারীতি রাত ৮টার পর সকল ফার্স্টফুড দোকানসহ মার্কেট বন্ধ থাকবে। সমন্বয়
সভায় গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি চার্চে পোশাকে ও
সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে
আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও
ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগস্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।
নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। থাকবে চার্চ
এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা
হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ, পোটলা, বাক্স, কার্টুন ইত্যাদি
নিয়ে চার্চে আসা যাবে না। এছাড়াও প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশপথে
সাবান-পানি দিয়ে হাতধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, থার্মাল
স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক অটোস্প্রে মেশিন
অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। চার্চের ফাদার ও দায়িত্বরত
ব্যক্তিবর্গসহ ভক্ত-দর্শনার্থীদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। সর্বক্ষেত্রে
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুদের অনুষ্ঠানে আসতে
নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি,
সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার
প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।