প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৯ এএম আপডেট: ২২.১২.২০২০ ৩:২০ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২০২১ সালের কার্যকরি পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল সোমবার নীল দলের প্যানেলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া। ওই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া। করোনা মহামারির কারণ দেখিয়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল এবং বাম শিক্ষকদের সংগঠন গোলাপি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি এই নির্বাচনে।
১৫ সদস্যের পরিষদের সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন এবং যুগ্ম-সম্পাদক পদে অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম নির্বাচিত হয়েছেন। সদস্য পদে থাকছেন অধ্যাপক জিয়া রহমান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভুইয়া, অধ্যাপক ইসতিয়াক মঈন সৈয়দ, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক আমজাদ আলী, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ, অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল মঈন ও অধ্যাপক নিসার হোসেন। তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু গত ৭ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হলে মহামারির মধ্যে তা স্থগিত রেখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছিল সাদা দল। পরে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম।
অন্যদিকে গোলাপি দলও এবছর নির্বাচনে অংশ নিতে মনোননয়নপত্র জমা দেয়নি। তফসিল অনুযায়ী ২০ ডিসেম্বর রাত ৮টায় নির্বাচন পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন। এতে নীল দল ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি বলে গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাজ ছিল নির্বাচন পরিচালনা করা। কোনো প্যানেল নির্বাচনে না আসতে চাইলে এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। নীল দল ছাড়া অন্য কোনো প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। অন্য কোনো প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় ৩০ ডিসেম্বর আর নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না। নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী নীল দলের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হলো।