আরও ৩২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৭০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৯ এএম আপডেট: ২২.১২.২০২০ ৩:২০ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন রোগী আরও ১ হাজার ৪৭০ জন শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে করোনা পরিস্থিতির এই সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৪৭০ জনকে নিয়ে দেশে করোনা সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২ হাজার ১৮৩ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩২ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় সর্বমোট মারা যাওয়া লোকের সংখ্যা ৭ হাজার ৩১২ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাসা এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আরও ২ হাজার ১৬৭ রোগী সুস্থ হয়েছেন গত একদিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৪ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনায় প্রথম সংক্রমিত রোগী ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ, এই সংখ্যা ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৪ লাখ অতিক্রম করে যায়। যার মধ্যে গত ২ জুলাই সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়। সেই দিন ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর অর্থাৎ গত ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করা হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে। এরপর ১২ ডিসেম্বর এই মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে গেল। এই হিসেবের মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। সেই দিন ৬৪ জন মারা যান। এদিকে, বিশ্ব করোনা রিপোর্ট প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, সারাবিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থান দখল এবং মৃতের সংখ্যার দিক থেকে ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া গোটাবিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এরমধ্যে ৭ কোটি ৬৮ লাখ পেরিয়েছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯৩ হাজার পেরিয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত একদিনে দেশে বিভিন্ন ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৬৬৯টি নমুনার এসব পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭৫৬টি। শতকরা হিসেবে গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার তথ্য মতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। সেই হিসেবে শনাক্ত রেটে সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে সুস্থতার হার ভালো দাবি করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর বয়সের হিসেবে ষাটোর্ধ্ব লোকের সংখ্যা বেশি।