মিজান-বাছির ঘুষ মামলার সাক্ষী দোকানী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৯ এএম আপডেট: ২২.১২.২০২০ ৩:১৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
সাবেক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরো একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ছিল এই মামলা। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ গতকাল সোমবার এ দিন ধার্য করে। এ মামলার বিচারক শেখ নাজমুল আলম। এদিন সাক্ষ্য দেন নাসির উদ্দিন বাবু নামে এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় একজন ফ্লেক্সিলোড দোকানী। তিনি বনানীর সুপারমার্কেটের একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান চালান। এরপর তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। মামলায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বডিগার্ড হৃদয় হাসান গত বছরের ৯ জানুয়ারি মুঠোফোনের দোকান থেকে একটি সিম কেনেন। হৃদয় হাসান তার জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছিলেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদফতরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এর অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। মামলার তদন্ত চলাকালে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ অভিযোগ ওঠার পর বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা চার্জশিট দাখিল করেন গত ১৯ জানুয়ারি। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামিদের উপস্থিতিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে গত ১৮ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন।