প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৯ এএম আপডেট: ২২.১২.২০২০ ৩:১৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
শাহ আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে যে মামলা হেফজতের নেতাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন একদল আলেম। হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার এই তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও আলেম সমাজকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি কুচক্রি মহল। হাটহাজারী মাদরাসায় কর্তৃত্ব হারানোর পরদিন গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হেফাজতের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফী। চট্টগ্রামের আদালতে গত বৃহস্পতিবার শফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন, সেখানে শফীকে ‘মানসিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে’ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
হেফাজতের বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীর অনুসারী অধিকাংশই ওই মামলার আসামি। এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা মো. নাসির মুনিরকে। সাম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতার জন্য আলোচনায় আসা হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে করা হয়েছে দুই নম্বর আসামি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আল্লামা শাহ আহমদ শফী স্বাভাবিকভাবে ইন্তেকাল করেছেন। দেশি-বিদেশি মিডিয়ার সামনে যা তার বড় ছেলে পরিবারের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে জাতিকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে হাটহাজারী মাদরাসার সব শিক্ষক সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। মৃত্যুর আগে এবং পরে দুই দেশের সেরা হাসপাতালের রিপোর্ট ও ডেথ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তার স্বাভাবিক মৃত্যু স্পষ্ট করা হয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহলটি এর পরেও হজরতের স্বাভাবিক মৃত্যুকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে দেশে ‘শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি করে বলা হয়, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে হেফাজতে ইসলাম ও আলেম সমাজ প্রতিবাদী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।