প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৯ এএম আপডেট: ২২.১২.২০২০ ৩:১৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
সরকারি-বেসরকারি কোনো অফিসে মুখে মাস্ক পড়া না থাকলে কোনো সেবা না দেওয়ার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়তে পারে সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে এদিন অবহিত করা হয় মন্ত্রিসভাকে। নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এ কার্যক্রমকে সব জাগায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এর প্রচার বাড়ানোর জন্য স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজের সচেতন ব্যক্তি সবাই এই কাজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেহেতু পৃথিবীতে করোনা মহামারি বেড়েই চলেছে, এটা আমাদের আরও একটু স্ট্রং অ্যাকশনে যেতে হবে, যাতে যথাসম্ভব সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেইনটেইন করা যায়। আর মাস্কের কথা তো বার বার আলোচনায় আসছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস এটা মুখে বলছি, এর বাস্তব প্রয়োগ বাড়াতে হবে। যারা মাস্ক না পড়ে আসবে, সরকারি-বেসরকারিসহ সব অফিসেই কোনোভাবেই যেন সেবা না দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগকে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন একটা সুবিধা হচ্ছে, আমরা তো বুঝতে পারছি। মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। এখন ট্রিটমেন্ট প্রটোকল বোঝা যাচ্ছে, হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্ট বোঝা যাচ্ছে, যার জন্য এখন মোটামুটি সবাই। করোনা মহামারির মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। অতি সংক্রামক এই ভাইরাস প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যু ডেকে আনলেও নানা অজুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সে কারণে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে।