শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বুয়েট আবরার হত্যা মামলা
আদালত পরিবর্তনের আবেদনে খারিজ; বিচার চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:১৯ এএম আপডেট: ২২.১২.২০২০ ৩:১৬ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের আদালত পরিবর্তন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার এবং আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী ও শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, আদালত পরিবর্তনের আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে মামলার কার্যক্রম চলবে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আদালত পরিবর্তন করে গত ৬ ডিসেম্বর  হাইকোর্টে আবেদন করতে সময় চেয়েছিল আসামিপক্ষ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। এরপর হাইকোর্টে আবেদন করেন ১৬ আসামি। একই আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর  আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেন। এ বিষয়ে সময় চেয়ে একটি লিখিত আবেদনও দেন তারা। আদালত আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৬ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন। এই আদালতেই বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ৬০ সাক্ষীর ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিপক্ষের আবেদনে বলা হয়, সাক্ষীদের জবানবন্দির পর জেরায় আইনজীবীদের প্রশ্ন হুবুহু রেকর্ড হয়নি। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের ৩৩ নম্বর সাক্ষী রকিবুল হাসানের সাক্ষী রিকল করে জবানবন্দি নেন। আসামিপক্ষকে রিকলের বিষয়ে জানানোর কথা থাকলেও তা না করেই বেআইনিভাবে পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়ার অভিযোগ করে আসামিপক্ষ। তাই ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করার জন্য মামলাটি মুলতবি রাখার দরখাস্ত দিয়ে বেরিয়ে যান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর। এরপর গত ৫ অক্টোবর আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য শুরু হয়। 

উল্লেখ্য, বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বরকতউল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। গত বছর ১৩ নভেম্বর মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। মামলার তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, শাখা ছাত্রলীগ সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত এবং এস এম মাহমুদ সেতু। পরে হত্যাকা-ে সম্পৃক্তদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি। মামলার আট আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মনিরুজ্জামান মনির ও এএসএম নাজমুস সাদাত। মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামে পলাতক এক আসামি পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। তাই এখন পলাতক রয়েছেন আর তিন আসামি। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]