প্রকাশ: রোববার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোপসাগরে ৭ জেলে সহ ফিশিং ট্রলার ডুবির ২২ ঘন্টা ভাসমান অবস্থায় থাকার পর ৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এখনও ট্রলারের মালিকসহ ৩ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় ফিড়ে আসা জেলেরা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য শনিবার রাতে নৌবাহিনীর সদস্যরা মোংলা থানায় হস্তন্তর করার পর রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে উদ্ধারকৃত ৪ জেলেকে। তবে নিখোঁজ ৩ জেলেকে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে নৌবাহিনী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
মোংলা থানা পুলিশ ও উদ্ধারকৃত জেলেরা জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দোশ্যে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে একটি ফিশিং ট্রলার যোগে রওয়ানা হয় ৭ জেলে। ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাগরের গহিনে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার ২১ নটিক্যাল মাইল দক্ষিন-পুর্বে ভারতীয় ট্রলারের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় ৭ জেলেসহ বাংলাদেশী এ ট্রলারটি। এ সময় ট্রলারের উপরে ঘুমান্ত থাকা গনেশ মাঝি, রাহাত খলিফা, হাসান আলী ও ছিদ্দিকুর রহমান ডুবন্ত ট্রলারে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার, ড্রাম ও ককসেট ধরে সাগরে ভাসতে থাকে।
২২ ঘন্টা ভাসমান থাকার পর ১৭ ডিসেম্বর গভির রাতে সাগরের গহিনে থাকা পারটেক্্র নামক অন্য একটি ফিশিং ট্রলার মাঝি তাদের ভাসতে দেখে ৪ জেলেকে উদ্ধার করে। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তাদের অক্্িরজেন ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় নৌবাহিনীর বি এন এস ওমর ফারুক জাহাজে হস্তান্তর করে উদ্ধারকারী ওই ফিশিং ট্রলারের লোকজন। বাকি ৩ জেলে ভান্ডারিয়া বোতলা এলাকার নুরু খলিফার ছেলে আবুল কালাম (৩৫), একই এলাকার শুনিল কুমার শীল’র ছেলে শান্ত শীল (২৪) ও ভান্ডারিয়া হরিনপালা এলাকার নাছিম উদ্দিন (৩৫) নিখোজ রয়েছে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মোংলা নৌবাহিনীর প্যাটি অফিসার মোঃ আজিজ শনিবার রাতে উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিবারের বুঝিয়ে দেয়ার জন্য মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। অসুস্থ্য এসকল জেলেদের পুলিশের সহায়তায় খাবার ও চিকিৎসা শেষে পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে রোববার দুপুরে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী।