পণ্যের দাম হিসেবে দেয়া টাকা ফেরত না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে আফরোজা বলেন, ‘তারা আমার পণ্য পাঠায়নি। এরপর যখন আমি তাদের দেয়া নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন করি তারা আমার নম্বরও ব্লক করে দেয়।’
ই-কমার্স নীতিমালা শিগগিরই
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহিদ তমাল জানান, অনলাইনে প্রতারণার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। প্রায় এক লাখ ফেসবুক পেজ রয়েছে যার মাধ্যমে বিক্রেতারা তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই, কারণ তাদের বেশিরভাগেরই ট্রেড লাইসেন্স বা টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) নেই।
গ্রাহকদের প্রতারণার হাত থেকে বাঁচানো বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতারণা নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম উপায় হলো গ্রাহক সংবেদনশীলতা, বলেন ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতকে উন্নত করতে ই-ক্যাব গঠিত হয়েছে। ই-ক্যাবের অধীনে বর্তমানে প্রায় ৫০০ ওয়েবসাইট এবং দুই হাজার ফেসবুক পেজ রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল ওয়াহিদ তমাল জানান, ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন এবং অন্যান্য কিছু তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক।
‘আমরা সকল তথ্য যাচাইয়ের পরই সদস্যপদ প্রদান করি এবং যখন আমাদের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাই, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তবে আমাদের সদস্য নন, এমন বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না,’ বলেন তিনি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তমাল বলেন, ই-ক্যাব এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ তৈরির জন্য কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা ই-কমার্স সাইটগুলোর জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করার জন্যও কাজ করছি। এই নীতিমালার কাজ এবং ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডউর’ শেষ হওয়ার পরে অনলাইন প্রতারণা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।”
এছাড়া ই-ক্যাব ‘এসক্রো সেবা’ সরবরাহের জন্যও কাজ করছে, যার মাধ্যমে গ্রাহক, বিক্রেতা এবং বিতরণকর্মীরা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবে বলে জানান তমাল।
এসব কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত, অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয়ের আগে উক্ত ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজের ট্র্যাক রেকর্ড যাচাই এবং তারা ই-ক্যাবের সদস্য কিনা সেটি যাচাই করে নিতে গ্রাহকদের পরামর্শ দেন আবদুল ওয়াহিদ তমাল। সূত্র: ইউএনবি