প্রকাশ: রোববার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:২০ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
সীমানা পেরিয়ে ডেস্ক বার্সেলোনার সুপার কিং লিওনেল মেসি চলতি মৌসুমে এখনও পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেননি বার্সেলোনার সঙ্গে। যার ফলে ২০২০-২১ মৌসুম শেষে আর বার্সার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকবেন না মেসি। তাকে দলে নিতে পারবে যেকোন দল। সে দৌড়ে এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে দুই ধনী ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) না। আর যদি ম্যান সিটি বা পিএসজির মতো ক্লাবগুলো মেসিকে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তাকে আটকে রাখার মতো আর্থিক সামর্থ্য এখন বার্সেলোনার নেই- এমনটাই মনে করেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অগাস্তি বেনেদিতো। কেননা এরই মধ্যে বিশাল অঙ্কের ঋণের নিচে চাপা পড়ে আছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। রেডিও মার্কায় দেয়া সাক্ষাৎকারে বেনেদিতো বলেছেন, "আমরা সবাই চাই, মেসি যেনো বার্সেলোনায়ই থেকে যায়। সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আমি শুনেছি যে, মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। মেসির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তটা নিশ্চিতভাবেই এমনি এমনিই আসেনি। এর পেছনে কারণ রয়েছে।" তিনি আরও যোগ করেন, "তাই এখন আমাদের জন্য প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, মেসির নিজের ইচ্ছা বদলানো। কেননা যেসব ক্লাবের মেসির ওপর চোখ রয়েছে, আমাদের যদি সে ক্লাবগুলোর বিপক্ষে লড়তে হয় এবং বিষয়টা যদি হয় অর্থনৈতিক, তাহলে আমরা মেসিকে আটকে রাখতে পারব না।" এই কিছুদিন আগেই বার্সেলোনার সাবেক তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র জানিয়েছেন, তিনি আবারও মেসির সঙ্গে এক দলে খেলতে চান। এরপর থেকে আরও জোরালো হয়েছে মেসির পিএসজিতে যাওয়ার গুঞ্জন। কেননা সেখানেই এখন খেলছেন নেইমার। এছাড়া সম্প্রতি ফিফা বেস্ট পুরস্কারে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পিএসজির দুই ফরোয়ার্ড নেইমার ও এমবাপে এবং সেরা গোলরক্ষক হিসেবে পিএসজির কেইলর নাভাসকেই ভোট দিয়েছেন মেসি। ফলে আগামী মৌসুমে পিএসজিতেই যাচ্ছেন মেসি, এমন গুঞ্জন শুরু হয়েছে জোরেশোরে। এ বিষয়টি মাথায় রাখতে বলেছেন বেনেদিতো,"আমি যখন নেইমারকে বলতে শুনলাম যে সে আবার মেসির সঙ্গে খেলতে চায়, আমি তখনই বলেছি এদের দিকে নজর রাখতে। কারণ পিএসজির ক্লাবটি কাতারি মালিকের, যারা কি না বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। তাদের একটা ক্লাব রয়েছে।""তারা যদি মেসি দলে নিতে চায়, তাহলে আর্থিক দিক থেকে আমরা তাকে রাখতে পারব না। তাই আমি সেদিনের অপেক্ষা করছি, যেদিন মেসি বলবে, ২০ বছর পেরিয়ে আবারও বার্সেলোনায়ই খেলতে চায় সে। বার্সেলোনা এখন অর্থনৈতিকভাবে খুবই বাজে অবস্থায় আছে। সবশেষ বোর্ড অনেক বড় ক্ষতি করে গেছে।"