প্রকাশ: রোববার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫ এএম আপডেট: ২০.১২.২০২০ ১২:৫১ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের বিভিন্ন জাগায় চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা আরও বেড়েছে। আস্তে আস্তে আরও বড় এলাকাজুড়ে এর বিস্তৃতি ঘটেছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এই অবস্থা আরও কয়েকদিন চলবে বলে আভাস আবহাওয়া দফতরের। এদিকে, ঢাকার তাপমাত্রা উত্তরাঞ্চলের মতো না বাড়লেও, তীব্র শৈতপ্রবাহ কিন্তু শীতের কাপন ধরিয়ে দিচ্ছে রোদ্রজ্জল রাজধানীতে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়। সেদিন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে নেমেছিল তেঁতুলিয়ায়।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ গতকাল জানান- রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া ও বরিশালে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুয়েকদিন এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়ত আর নামবে না। দুয়েকদিন পর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।’ তিনি জানান, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধিকাংশ জায়গায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৮-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে। আবহাওয়াবিদ বজলুর বলেন, ‘বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ তীব্র হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে চলতি মাসে আরেক দফা শৈত্যবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ২৫/২৬ ডিসেম্বরের পরে ফের তাপমাত্রা কমতে পারে। এ সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শেষ রাত থেকে সকাল অবধি সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রাও কমতে পারে। দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।