প্রকাশ: রোববার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫ এএম আপডেট: ২০.১২.২০২০ ১২:৫২ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দু’দিন ব্যাপী জোড় ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিদের সমন্বয়ে এই জোড় ইজতেমার আয়োজন করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরের আগেই মাওলানা ফারুক আহমেদের শেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন চিল্লার সাথীদের ইজতেমা ময়দানে এই পরামর্শ সভার পরিসমাপ্তি ঘটবে। এরপর জোড়ে অংশ নেওয়া তাবলিগের মুসল্লিরা যার গন্তব্যে চলে যেতে শুরু করেন।
এরআগে গত শুক্রবার সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হয়। শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের রাইবেন্ড মারকাযের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা জামশেদের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ ইজতেমা। শুক্রবার টিনশেড মসজিদে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ইজতেমার মুরব্বি সুলাইমান শরীফ। বাদজুমা সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন মাওলানা ইউসুফ। বাদ আসর বয়ান করেন রাইবেন্ড মারকাযের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ফাহিম আহমেদ। ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ইমাম শুরা-ই-নেজামের তত্ত্বাবধানে ও তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বি হাফেজ মাওলানা যোবায়ের আহম্মেদের অনুসারীরা এ জোড় ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। ইজতেমায় চারটি জেলার চার হাজার মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলা থেকে আড়াই হাজার, গাজীপুর জেলা থেকে সাতশ, টাঙ্গাইল জেলা থেকে চারশ এবং মানিকগঞ্জ জেলা থেকে চারশ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সীমিত আকারে হচ্ছে এ আয়োজন। মুসল্লিরা মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন চিল্লার সাথীদের ইজতেমা ময়দানে পরামর্শ সভা করার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরের আগেই তাদের সব কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ময়দানের চারপাশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান ওসি।