রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ই-পাসপোর্টের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ডিউক সিন্ডিকেট, নেপথ্যে তারেক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৪৪ পিএম আপডেট: ২০.১২.২০২০ ১২:৪৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশিদের যাতায়াত নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে হাতে লেখা পাসপোর্টের বদলে ২০১০ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় প্রবর্তিত হয় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)। কিন্তু এমআরপিতেও জালিয়াতি করা হচ্ছে বলে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনাকে আরও নির্ভুল, সহজতর, সময়-সাশ্রয়ী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে বিশ্বের ১১৮টি দেশ ইতোমধ্যে ই-পাসপোর্ট প্রদান করেছে। এর ফলে বিশ্বে ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যতই সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছেন, তখনই সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় বিএনপি-জামায়াতের অনুচর সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সক্রিয় রয়েছে। এবার ভোরের পাতার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার শিষ্য রফিকুল ইসলাম ডিউককে দিয়ে কীভাবে ৩ কোটি ই-পাসপোর্টের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। হাতিয়ে নেওয়া এসব তথ্যকে নানাভাবে ব্যবহার করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অনেক হিসাব নিকাশ পাল্টে দিতে পারে ডিউকের মধ্য দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া এসব পাসপোর্ট তথ্য। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে পাসপোর্টের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষরা। সংঘবদ্ধ একটি চক্র সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে নানা নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলেও জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে। আওয়ামী লীগের লেবাসধারী দুবাইয়ে পলাতক ফ্লোরা টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক ছিলেন একসময় তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠার পর থেকে তিনি পালিয়ে রয়েছেন দুবাইয়ে। তার নানা অপকর্মের খতিয়ান মিলছে ভোরের পাতার অনুসন্ধানে।
কে এই মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক? নিজেকে আইটি ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্ন ডিউক যুক্তরাষ্ট্র থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বিএসসি এবং এমএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর জিই ক্যাপিট্যাল ক্যালিফোর্নিয়া এবং কম্পিউটারল্যান্ডে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে তিনি আইটি ইনফ্রাকস্ট্রাচার এবং সফটওয়্যার কোম্পানি ফ্লোরা টেলিকম ও ফ্লোরা সিস্টেমস পরিচালনা করে আসছেন। অভিযোগ মিলেছে, দেশের কৃষি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসিবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংকসহ মোট ৮টি ব্যাংকের ১০০ এরও বেশি ব্র্যাঞ্চে নিম্নমানের কোর ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন সফটওয়্যার দিচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বিএনপির আমলে একচেটিয়া ব্যবসা করেন তিনি। নানা অনিময়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করেছেন বলে দুর্নীতি দমন কমশিন থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কাজও শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পরিচালক পদ ব্যবহার করে সরকারের অনেক প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নেয় ডিউক। তার মধ্যে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ই-পাসপোর্টের কাজও বাগিয়ে নিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান। সরকারের নানান প্রকল্পের কাজ করলেও তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বিএনপির বড় অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আলোচিত ছিলেন। বিএনপির গিয়াস উদ্দিন আল মামুন তার ঘনিষ্ট বন্ধু। তারেক রহমানের সাথে তার একাধিক ছবি রয়েছে। এছাড়া এক সময়ের ক্ষমতাধর আর বর্তমানে পলাতক বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর ডান হাত হিসাবে বিপুল সরকারি অর্থ লুটপাটে জড়িত ছিলেন ডিউক, এমন তথ্যও উঠে এসেছে ভোরের পাতার অনুসন্ধানে। এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকেও ডিউক নানা সময়ে অনৈতিক পন্থায় আয় করা অর্থেও ভাগ ও অন্যান্য অবৈধ সুবিধা দিতেন বলেও জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র।

ডিউকের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভোরের পাতাকে বলেন, রফিকুল ইসলাম ডিউক নামের এমন একজনকে চিনি যে নিজেকে বড় আইটি ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। এমনকি বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে তাকে তারেক রহমান নিজেই কয়েকবার হাওয়া ভবনে ডেকেছেন। এখন এই ডিউক যখন নিজেকে আওয়ামী লীগার দাবি করে তখন আমাদের হাসি পাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। নিজ দলের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, বিএনপি আসলে এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই, এটা সত্যিকারের একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেখানে তারেক রহমানকে গোপনে বা প্রকাশ্যে খুশি রাখতে না পারলে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। এমনকি এই তারেক রহমানের পরামর্শেই ডিউকের মতো লোকজন আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে নিচ্ছে এবং ব্যবসা করে লন্ডনে নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছে।
ভোরের পাতার অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকার সময় ঢাকা টেলিফোন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। যে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক পার্টনার হিসাবে মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউকের সাথে আরো ছিলেন, তারেক রহমানের অর্থযোগানদাতা এ টি এম হায়াতুজ্জামান খান। এছাড়া বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসও ছিলেন ওই কোম্পানির পরিচালক। তৎকালীন বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমানকেও ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে তখনকার সময়ে রফিকুল ইসলাম ডিউক বিভিন্ন রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার ব্যবসা বাগিয়ে নেয়। সেখান থেকে নানা অনিময় দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেন তিনি। এমনকি বনানীতে অফিস নিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসাও করেছেন দীর্ঘদিন। অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসার টাকার ভাগ আওয়ামী লীগের অনেক নেতার পকেটেও ঢুকেছে বলে জানিয়েছে ফ্লোরা টেলিকমের নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন আর সাফল্যেও স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে ঠিক তখনই অত্যন্ত সুকৌশলে রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ই-পাসপোর্টের কাজটি জার্মান কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে দীপন গ্রুপের মাধ্যমে বাগিয়ে নিয়েছে ডিউক। দীপন গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদও বিএনপি-জামায়াতপন্থী। তারাও তারেক রহমানের অর্থযোগানদাতা বলে দাবি করেছেন দীপন গ্রুপেরই একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। ২০১৮ সালে সোয়া তিন হাজার কোটি টাকায় বাংলাদেশকে ই-পাসপোর্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ পায় জার্মান কোম্পানি ভ্যারিডোস জিএমবিএইচ। দেশীয় কোম্পানি হিসাবে ফ্লোরা টেলিকমের এই কাজটি পেতে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামায়াতের কিছু এজেন্ট অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছিল বলে জানা যায়। বিতর্কিত ব্যবসায়ী ডিউককেই যেন কাজটি দেওয়া হয়, সেজন্য সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদকে ঘুষ হিসাবে রাজধানীর অভিজাত একটি গাড়ির শো-রুম থেকে ৪টি বিএমডাব্লিউ গাড়ি উপহারও দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি ডিউকের ঘনিষ্ঠদের একজন ভোরের পাতাকে নিশ্চিত করেছেন।
তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, বিএনপির এজেন্ট হিসাবে রফিকুল ইসলাম ডিউক কাজটি নিয়েছিল শুধুমাত্র তারেক রহমানের কাছে তথ্য পাচার করার জন্য। ভোরের পাতার সাথে আলাপকালে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার পিএসপি বলেন, পাসপোর্ট একটি রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর অনুষঙ্গ এবং ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়। পাসপোর্টে জাতীয় পরিচয়ের সকল তথ্যই থাকে। এই তথ্য পাচার হলে অবশ্যই রাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা আমরা আগেও দেখেছি, রোহিঙ্গারা পর্যন্ত এ দেশের পাসপোর্ট বহন করেছে। রফিকুল ইসলাম ডিউকের মতো একজন আদর্শচ্যুত মানুষ কিভাবে এই কাজটি বাগিয়ে নিয়েছে সেটি আগে খতিয়ে দেখতে হবে। আমি ডিউককে দোষ দেওয়ার আগে বলতে চাই, রাষ্ট্রযন্ত্রের ভিতরে অনেকেই আছেন যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যারা মনেপ্রাণে এখনো বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, তারা সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। তারাই ষড়যন্ত্রকারীদের পৃষ্ঠপোষককে এই কাজ দিয়েছে। এখনো সময় আছে, মাত্র ২ হাজার ই-পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। যা আগামী মাসেই বাংলাদেশে চলে আসবে বলে জানা গেছে। ২০১৮ সালে রফিকুল ইসলাম ডিউককে কে বা কারা এই কাজটি পাইয়ে দিয়েছে, তাদের অতীত সামনে আনতে হবে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার। এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ইস্যুতে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
আলী শিকদার বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের সময়ও আমরা আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখেছি, এখনো বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা সক্রিয় রয়েছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে যেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে না বসানো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার জন্যও সরকারের প্রতি অনুরোধ করব। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ টেন্ডার কাজটির সাথে যারা জড়িত ছিলেন, তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনে রফিকুল ইসলাম ডিউকের ফ্লোরা কোম্পানির নামে বরাদ্দকৃত কাজটি বাতিল করে নতুন করে টেন্ডারও আহ্বান করা যেতে পারে।
 এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভোরের পাতাকে মুঠোফোনে বলেন, আমরা ২০১৮ সালে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের অনুরোধে বাংলাদেশ জার্মান কোম্পানি  ভ্যারিডোস জিএমবিএই’র সাথে চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী ‘টার্ন কি’ পদ্ধতিতে এটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভেরিডোসের সঙ্গে ‘ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের চুক্তি সই করে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। এরপর জার্মান কোম্পানি দেশীয় ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিকে কাজ দিয়েছে। এটা তো আমাদের বিষয় নয়। এটা জার্মান কোম্পানি ভ্যারিডোসের বিষয়। মাত্র দেড় মিনিটের কথোপকথনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিউকের কাজ পাওয়া বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি, এছাড়া নামাজের ব্যস্ততার কারণে তিনি কথা সংক্ষিপ্ত করেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ডিউক কিভাবে এমন নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ই-পাসপোর্টের কাজটি পেলেন সে বিষয়ে জানতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধূরীকে (এসজিপি, পিবিজিএমএস, এনডিসি, পিএসসি) ফোন করা হলে তার সরকারি ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এমনকি পাসপোর্ট অধিদফতরের ওয়েবসাইটিও বন্ধ দেখাচ্ছে।
এদিকে, ফ্লোরা টেলিকমের কর্ণধার মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউককে কয়েকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তারই অফিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভোরের পাতাকে বলেন, ‘ডিউক স্যার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের তদন্ত শুরু হওয়ার পরই দেশ ছেড়েছেন। কবে দেশে ফিরবেন, সেটাও আমরা বলতে পারছি না।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই রফিকুল ইসলাম ডিউক বছরের অধিকাংশ সময়েই যুক্তরাজ্যে থাকেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে তার বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। ব্রেনলি ব্রান্ডের দামি গাড়িও কিনেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দুবাইয়ে অভিজাত নৌ-তরী, হোটেলসহ অবৈধ অনেক সম্পদের হিসাবও পেয়েছে দুদক। ‘ইয়াবা সুন্দরী’ নিকিতাকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করিয়ে ইয়াবা সম্রাটের উপাধিও বাগিয়েছেন এই রফিকুল ইসলাম ডিউক। কয়েকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ভোরের পাতাকে বলেছেন, এমন দেশবিরোধী মানুষ হিসাবে মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউকের ব্যবহৃত মোবাইল, হোয়াটসআপ, ভাইভার, সিগন্যাল, বটিম, নামের কয়েকটি এ্যাপস  গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নজরদারিতে আনলেই অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে। এটা দেশের স্বার্থেই করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]