প্রকাশ: রোববার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫ এএম আপডেট: ২০.১২.২০২০ ১২:৪৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের নয়, বিএনপির রাজনীতিতে এখন চরম দুর্দিন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, তাদের গোপন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারণে, জনগণ এখন মনে করে ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুশীলব বিএনপি। গতকাল শনিবার নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার নাকি দেশকে বিরোধী দলহীন করার চেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের অব্যাহত এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও মজবুত করতে আরও দায়িত্বশীল বিরোধী দল চায় সরকার। শেখ হাসিনা সরকার সমালোচনায় ভয় পায় না। গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই জনগণ বিএনপির কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা জয়ী হওয়ার জন্য নয়, নির্বাচনে আসে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। পোলিং এজেন্ট না দিয়ে নির্বাচন বয়কট করে সংবাদ সম্মেলন করছে। বিএনপি প্রকারান্তরে নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলছে, দেশে এখন কোন ধরনের খরা-মন্দায় না খেয়ে মারা যায়নি। আসল দুর্দিন দেশে নয়, ভয়াবহ দুর্দিন গ্রাস করেছে বিএনপির রাজনীতিকে। বিএনপি চরম হতাশার রাজনীতিতে নিমজ্জিত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো বহুদলীয় গণতন্ত্র বিরাজ করছে। কোন রকম একদলীয় শাসন-ব্যবস্থা নেই, আছে কার্যকর সংসদ। আর বিএনপি মহাসচিব মিথ্যাচার করে তথাকথিত একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কিসের আহ্বান জানিয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়। কথায় বিএনপি উন্নয়ন ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকেই উস্কে দিয়ে তাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেয়। বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সাথে গোপন সখ্যতা গড়ে যে ভিত গড়েছে তা থেকে কোন রকমে তারা বের হতে পারছে না। এবং সেই সব দেশবিরোধীদের নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চ্যালেঞ্জ করা হয় তখনও বিএনপি কেন জনসমাবেশে এসে এর বিরোধীতা করতে সাহস দেখাতে পারেনা, অথচ তারা বলে তাদের দলে নাকি মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেশি। তাদের বর্ণচোরা আর গোপন ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কারণে জনগণ মনে করে ভাস্কর্য অবমাননার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুশীলব বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ ও অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। গ্রাম হতে শহরের প্রতিটি সেক্টরে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন দৃশ্যমান। এসময় তিনি সঠিক সময়ে সম্মেলন দেওয়ার আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যথাযথ সময়ে সম্মেলন না দিলে নেতৃত্বের ট্রাফিক জ্যাম হয়ে যায়, কর্মীরা নিজের বাড়িতেও চাপের মুখে থাকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া সমস্যার কারণে বিদ্রোহীদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ অনেক কঠোর। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. এমদাদুল হক। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।