শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার শাকিল আহমেদ।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে জয়পুরহাট শহরের পুরানাপৈলে পার্বতীপুর-রাজশাহীগামী ৩২ নম্বর উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদূল ইসলাম জানান, পার্বতীপুর লোকোসেড ও ঈশ্বরদী লোকাসেড থেকে রিলিফ ট্রেনের উদ্ধার কর্মীরা ইতোমধ্যে রওয়ানা হয়েছে। প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মো. সালাম কবির ও সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সারোয়ার হোসেন জানান, হিলি থেকে ছেড়ে আসা ৩২ নম্বর উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। পথে উপজেলার পুরানাপৈল রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর ট্রেনটি থেমে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত ও কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিকভাবে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও দুজন মারা যান।