জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া নাম অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাকি সব ব্যাংকের চেয়ে প্রায় সূচকে এগিয়ে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দেয়া ‘অগ্রণী’ নামটার যথার্থতা প্রমাণ হয়েছে। এমনকি ব্যাংকটির ইতিহাসে টানা তৃতীয়বার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস)’র সাবেক মহাপরিচালক ড. জায়েদ বখত। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির নীতিমালা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায়, অগ্রণী ব্যাংকের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে নিরলস দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত বিনয়ী. মেধাবী, প্রখর প্রজ্ঞাবান মানুষটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও সুমহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। ড. জায়েদ বখত এমন একজন অর্থনীতি বিশ্লেষক, যিনি তার দূরদৃষ্টি দিয়ে ব্যাংকটির উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই সফল হয়েছেন। অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতি দমন কমিশন তলব করে, দুর্নীতির দায় নিয়ে অপসারিত হন, সেখানে ড. জায়েদ বখত একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং পরিশ্রমী হিসাবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মানুষ। ব্যাংকিং জগতে একজন সততার মূর্ত প্রতীক হয়ে সবার কাছেই তিনি এখন আদর্শে পরিণত হয়েছেন। সম্প্রতি, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের তৃতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার পর দৈনিক ভোরের পাতার এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতা হয় ড. জায়েদ বখতের। এই আলাপচারিতার বিশেষ কিছু অংশ নিয়ে আজকের এই সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রতিবেদন।
সেদিন স্নিগ্ধতা মাখানো শীতের দুপুরে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত অপেক্ষায় ছিলেন এ প্রতিবেদকের। কুশল বিনিময় পর্ব শেষ করেই সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ইতিহাসে টানা তিনবার চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকা ড. জায়েদ বখতের দিকে। আপনি এবারের মতো টানা তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বসেছেন, এটা কি আপনার দক্ষতা, সততার পুরষ্কার নাকি অন্যকিছু?
ড. জায়েদ বখতও কোনো রকমের ভণিতা না করে বলতে শুরু করলেন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এখন বাংলাদেশের সেরা ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থা অর্জন থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতিতে চমৎকার ভূমিকা পালন করে চলেছে। ২০১৪ সালের পর থেকেই দায়িত্ব গ্রহণের পর নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বারবার পরিবর্তন হলে নতুন করে আবার শুরু করতে হয়। তাই হয়তো, জনগণের কাছে আস্থাশীল ব্যাংক হিসাবে পরিচিত অগ্রণী ব্যাংকের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, এই ব্যাংকের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ শামস্-উল ইসলামের মতো একজন সুদক্ষ ব্যাংকার যিনিও সারাদিন এই ব্যাংকের উন্নতি ও আর সমৃদ্ধি নিয়ে ভাবেন, তাকে পার্টনার হিসাবে পেয়েছি। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক সহযোগিতার কারণেই অগ্রণী ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কাজ করে যাচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এই মেগা প্রকল্পটিতে ৯৮ শতাংশ ডলার সরবরাহ করেছে। আমরা অগ্রণী ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে গর্ববোধ করি। কারণ রাষ্ট্রীয় ব্যাংক হিসাবে এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে অগ্রণী ব্যাংকেরও অবদান রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. জায়েদ বখত বলেন, শুধু পদ্মা সেতু কেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, মেট্রোরেলসহ বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের অংশীদার অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। দেশের প্রবাসী আয়ের রেকর্ড ৪২ বিলিয়ন ডলার অর্জনে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আমাদের ব্যাংক। এমনকি কৃষি ঋণ বিতরণ থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদেরও অগ্রণী ব্যাংক সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে আসছে। গ্রাহক ভোগান্তির তেমন কোনো অভিযোগই আমাদের কাছে আসে না। এই কারণে আমরা অগ্রণী ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করছি বলেই অগ্রণী ব্যাংক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নান্দনিক সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বর্ষীয়ান এই অর্থনীতিবিদ।
তবে একটি বিষয় ড. জায়েদ বখত দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি সামনে তুলে আনেন। তিনি বলেন, এদেশে এখনো পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র আগেও ছিল, এখনো আছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য প্রধান শর্তগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এটা খুব ভালো করেই রক্ষা করে যাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন বিদেশীরা প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী অনেক দেশে বিনিয়োগ না করে সরাসরি বাংলাদেশে চলে আসেন। কেননা তারা বিশ্বাস করেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন যে ধারায় প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশই বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ জায়গা। তবে যারা ইচ্ছে করেই এদেশকে পিছিয়ে রাখতে চায়, তাদের বিষয়েও আমাদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।
অবসর সময়ে কি করেন এমন একটি প্রশ্ন করা হলে মুচকি একটা স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ হাসি দিয়ে ড. জায়েদ বখত বলেন, প্রকৃতপক্ষে এই বসয়ে এসেও অবসর তেমনভাবে পাই না। সকালে যখন পার্কে হাঁটতে যাই, তখনো আমার মাথায় থাকে কিভাবে অগ্রণী ব্যাংকের ধারাবাহিক উন্নয়ন ধরে রাখা যায়। কিভাবে গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাটা আরো মজবুত করা যায়। এমনকি গাড়িতে বসে যখন প্রিয় কোনো রবীন্দ্র সংগীত অথবা নজরুল গীতি শুনি, অথবা মেডিটেশন করি তখনো অগ্রণী ব্যাংকের উন্নয়ন নিয়েই ভাবতে থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আমার ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন, সেটার প্রতিদানেই সারাদিনই আমি অগ্রণী ব্যাংকের উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে থাকি। একটু স্মিত ও নম্র হেসে বলেন, অবসর তেমন নেই; তবুও অবসর উপভোগ করি ব্যাংকের উন্নয়ন নিয়ে ভেবেই।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর সরকার তাকে আবারও তিন বছরের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়। ২০১৪ সালে তিনি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথম দায়িত্ব শুরু করেন। ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতির নানা শাখায় কাজ করেছেন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী এ অর্থনীতিবিদ। ড. জায়েদ বখত ১৯৭১ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) স্টাফ অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে একই প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ ফেলো হিসেবে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৯৯৮ সালে গবেষণা পরিচালক নিযুক্ত হন। ২০১৪ সালে তিনি অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তার আগে ২০১২ সালে তিনি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হন।
ড. জায়েদ বখত বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে নানামুখী গবেষণায় সমৃদ্ধ করেছেন অভিজ্ঞতার ঝুলি। গবেষণা প্রকল্প প্রণয়ন, পরিচালনা ও দিক নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ উন্নয়ন অর্থনীতিবিদের দীর্ঘ কাজ রয়েছে। বিশেষকরে বাণিজ্য, শিল্প, বেসরকারি খাত, এসএমই উন্নয়ন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং বাহ্যিক অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁর গবেষণা ও অভিজ্ঞতা ব্যাপক। এছাড়া শিল্পনীতি, জাতীয় আয় হিসাব, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সরকারি ব্যয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ের পলিসি তৈরীতেও তিনি অভিজ্ঞ।
ড. জায়েদ বখত ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে দ্বিতীয়বার অর্থনীতিতে এমএসসি এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা সার্ক, দেশের উদীয়মান পোশাক খাতের কর্ম পরিবেশের নিরাপত্তা ও রপ্তানি এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ বিষয়সহ বাংলাদেশ সরকারের বেশকিছু গবেষণা প্রকল্পে তিনি কাজ করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংক, আইএলও, এডিবি, এসক্যাপ, ইইউ, এফএও, আঙ্কটাড এবং জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশনের সঙ্গেও অনেক গবেষণা প্রকল্প রয়েছে তাঁর।
ড. জায়েদ বখত বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ইউনেস্কো, আঙ্কটাড, স্ট্র্যাথলাইড ইউনিভার্সিটি, এসক্যাপ ও আএলওতে বেশকিছু আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯১ সালে শ্রীলংকায় গ্রামীণ অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান নিয়ে আলএলও’র সেক্টর রিভিউ মিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে এসক্যাপ এর কনসালটেন্ট হিসেবে আসিয়ান ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস, ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনোমিকস, টোকিও, জাপানসহ বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বেশকিছু গবেষণা পরিচালনা করেছেন।
শিক্ষকতা জীবনে পদার্পণের মধ্যদিয়েও ড. জায়েদ বখত সমৃদ্ধ করেছেন তাঁর ক্যারিয়ার। ২০০৯-১০ সালে ইউএনডিপির স্পন্সরে বিআইডিএস ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্সে কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি বিভাগ ও এমবিএ প্রোগ্রামে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ঢাকায় ২০০৬-২০০৮ সালে তিনি অর্থনীতি বিভাগে অ্যাডজাঙ্কট অধ্যাপক ছিলেন, ২০০৫ সালে বিআইডিএস ও ডব্লিউবিআই প্রশিক্ষণ শিবিরে রিসোর্স পারসন ছিলেন। তিনি আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ, পিএটিসি, এনএইএম এবং প্ল্যানিং অ্যাকাডেমিতে গেস্ট স্পিকার ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের পাশাপাশি ইতিপূর্বে দেশেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন এ অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। তিনি ২০১২ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হন, শাহজালাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির সিন্ডিকেট সদস্য ২০১৩ সাল থেকে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে অর্থনীতিবিদ প্যানেলের সদস্য ছিলেন, ২০০২ সালে সরকারি ব্যয় রিভিউ কমিশনের সদস্য ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আয় হিসাব পর্যালোচনা কমিটির সদস্য, ২০০১ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে শিল্প নীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন এ অর্থনীতিবিদ।
আরো একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, ড. জায়েদ বখতের পরিবারের সঙ্গে সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে একাত্তরে তাদের পরিবারকে কি নির্মম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল।
আলাপচারিতা শেষে এ প্রতিবেদক অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখতকে আন্তরিক সময় দেয়ার জন্য ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।