প্রকাশ: শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৭ এএম আপডেট: ১৯.১২.২০২০ ১:২০ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ আর আলু। এতে খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমবে বলেই আশা করছেন ভোক্তারা। তবে গেল সপ্তাহেই আরেক দফা বেড়েছে এ দুই পণ্যের দাম। গতকাল শুক্রবার বাজারে নতুন পেঁয়াজ ও আলুর দেখা মিললেও দাম না কমায় বিক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা গেছে। গতকাল মিরপুর বড়বাগ ও রাজধানীর কারওয়ান দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য দরকারি এই পণ্য দু’টির দাম কেজিতে অন্তত পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। বাজারে পুরানের সঙ্গে নতুন আলু ও পেঁয়াজ শোভা পাচ্ছে পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে। বড়বাগের একটি মুদি দোকানে আমদানি করা বড় আকারের পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৬০ টাকা আর পুরানো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। আর প্রতি কেজি পুরানো আলু ৪৫-৫০ এবং নতুন আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দোকানিরা বলেছেন, গত সপ্তাহের (১১-১৭ ডিসেম্বর) তুলনায় এই সপ্তাহে সব ধরনের আলু ও পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ছয় টাকা করে বেড়েছে। আড়তে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় পাইকারিতেও দাম বেড়েছে; আর এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, ‘মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এসে পেঁয়াজ ও আলুর মজুদ প্রায় শেষ। একদিকে নতুন পণ্য বাজারে আসতে শুরু করেছে আরেকদিকে পুরানো পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন পণ্যের সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে দামও কমে আসবে।’ এদিন কারওয়ান বাজারে এক পাল্লা (৫ কেজি) মুড়িকাটা পেঁয়াজ ২৫০ টাকা আর দেশি পুরানো পেঁয়াজ ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আলুর ব্যাপারি আলাউদ্দিন জানান, নতুন আলু পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৩০ টাকা, পুরান আলু ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বস্তা প্রতি চালের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে এ সপ্তাহেও (১১-১৭ ডিসেম্বর)। কারওয়ান বাজারে জনতা রাইস এজেন্সির আবু ওসমান জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে মিনিকেট ৫৫-৬০, নাজির ৫৬-৬০, আটাশ ৪৬-৪৭, পাইজাম ৪৬, স্বর্ণা ৪৪, চিনিগুড়া মান ভেদে ৭৮ ও ৯২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সিম প্রতি কেজি ৩০, মুলা ১৫-২০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা, শসা ও গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।