প্রকাশ: শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী হিসেবে এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন, ধানেরশীর্ষ এ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ঢালী ও নাঙ্গল প্রতীকের মনোনয়ন পেলেন মোঃ শহিদ সরদার।
নির্বাচনে শরীয়তপুর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাত জন মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা হলেন- বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক নুরুল আমিন কোতোয়াল, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন মুন্সি, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর , সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাহাড় ও প্যানেল মেয়র মোঃ বাচ্চু বেপারী।
বিএনপি থেকে ৪ জন মনোনয়ন চেয়েছিলেন তারা হলেন পৌরসভা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. লুৎফর রহমান ঢালি, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মাদবর (মনাছ মাদবর), দপ্তর সম্পাদক এ্যাড.মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ আরিফ মোল্লা । জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ সরদার।
আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী পারভেজ রহমান জন হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি প্রয়াত হাবীবুর রহমানের ছেলে। তার পিতা ও চাচা মনির হোসেনকে ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর গুলি করে হত্যা করা হয়। তার পিতা হাবীবুর রহমান নিহত হওয়ার সময় আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন। আর তার চাচা মনির হোসেন ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সাম্পাদক। তবে এই পৌরসভায় বিএনপি সংখ্যায় বেশি হওয়া নৌকা এবং ধানের শীষের প্রার্থীর সাথে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ।
১৯৮৫ সালে শরীয়তপুর সদর পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা ৩৮৩৪২ জন ভোটার এ বছর ভোট প্রয়োগ করবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর।