প্রকাশ: শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগরে এবছর সরিষা চাষে কৃষকের আগ্রহ কমেছে। নানা প্রতিকুতার কারণে গত বছরের তুলনায় উপজেলায় এবছর সরিষার আবাদি জমির পরিমান অনেকাংশে কমেছে। কারণ হিসেবে জানা যায়, বিভিন্ন খাল ভরাট ও দখলের কারণে পানি নিস্কাশনে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। এতে করে বিভিন্ন কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়াও অসময় বৃষ্টির কারণে জমিতে সরিষার বীজ বপনে অপেক্ষা করতে হয়েছে কৃষকের। এতে করে কিছু কিছু টান জমিতে সরিষার লক্ষ্য করা গেলেও, প্রায় জমিতেই সরিষার বীজ মাত্র ফুঁটে চারাগাছে পরিনত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষার চাষ কম বেশী হলেও বীরতারা এলাকায় সরিষার চাষ বেশী হয়। এখানেও এবছর বিভিন্ন কারণে অনেক কৃষক সরিষা চাষে আগ্রহ হাড়াচ্ছেন। সূত্রেমতে জানা যায়, শ্রীনগরে গত বছর ৩৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সরিষার চাষ করা হয়েছে। সেই হিসাব অনুযায়ী এবছর এখানে এই চাষাবাদে জমির পরিমান একেবারেই কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বীরতারা ইউনিয়নের ছয়গাঁও ও সাতগাঁও বিলে বেশ কিছু জমিতে সরিষার চাষ করা হচ্ছে। লক্ষ্য করা গেছে, বেশীর ভাগ জমিতে সরিষার বীজ কেবলমাত্র ফুঁটতে শুরু করেছে। যা কিনা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন! এ সময় সাতগাঁও গ্রামের প্রভাত মন্ডলের পুত্র কৃষক গণেশ মন্ডল (৫০), গোদাই বাড়ৈর পুত্র নরেতন বাড়ৈ (৫১), হাকিম আলীর পুত্র মো. বাবুল, ছয়গাঁও গ্রামের সার্থক আলীর পুত্র মো. হালিমসহ অনেকেই জানান, এবছর সরিষা চাষে বিলম্বনা হয়েছে। এখনও অনেক জমিতে বীজ মাত্র ফুটে উঠেছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, এই বিলের অনেক জমির পানি নিস্কাশন হচ্ছেনা। এতে করে সরিষার চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছেনা। খালগুলের বিভিন্ন স্থানে ভরাট ও দখলের কারণে পানি নিস্কাশনে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পরেছে। অপরদিকে অসময়ে বৃষ্টিতো আছেই। তারা আরো জানান, এই অঞ্চলে গত বছর আলুতে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এখানকার অনেক সরিষার জমিতে এবছর আলু চাষ করা হচ্ছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতি বিঘা (৩৪ শতাংশ) জমিতে সরিষা চাষাবাদে ইউরিয়া, পটাস ও টিএসপি সারের প্রয়োজন পরে ১২৫ থেকে ১৩০ কেজি। নানা প্রতিকুলতা কাটিয়ে সরিষার চাষাবাদে সব খরচ বাদে এখানকার কৃষকের শুন্য হাতে ঘরে ফিরতে হবে এমনটাই ধারনা করা হচ্ছে। অন্যান্য বছর সরিষার জমিতে মৌ-চাষীরা মধু সংগ্রহ করতে আসলেও, এবছর সরিষার জমির পরিমান অনেকাংশে কম হওয়ায় এখানে কোনও মধু চাষীকে আসতে দেখতে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপরে শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী বলেন, জমির পানি নিস্কাশন না হওয়ার পাশাপাশি অসময়ে বৃষ্টির কারণে সরিষা চাষাবাদে কৃষকদের বিলম্ব হচ্ছে। উপজেলায় মোট ২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রর্দশনী রয়েছে ৫০টি।