প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশ স্বাধীন করেছেন, এ স্বাধীনতার পথ তৈরি করার জন্য তিনি তার জীবনের মহামূল্যবান সময়গুলো কারাগারের অন্ধকার কারাগারে কাটিয়েছেন কিন্তু এদেশকে মুক্ত করে গেছেন। শেখ হাসিনাও তেমনি সারা বিশ্বের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও এদেশের উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের প্রতি প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করা এবং এদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রাখা। তার এ সফলতার যে কারণগুলোকে মোটাদাগে চিহ্নিত করা যায় সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সফলতা ও উন্নয়নের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা, সকল বাধা-বিপত্তিকে এড়িয়ে সেই লক্ষ্যে পোঁছানো। সর্বাঙ্গে বলা যায়, শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের একমাত্রও উন্নয়নের প্রতীক।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৯২তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ইতালি মিলান লোম্বারদিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: তোফায়েল আহমেদ খাঁন (তপু)। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মো: তোফায়েল আহমেদ খাঁন (তপু) বলেন, আজকে আমাকে এই সংলাপ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভোরের পাতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে আমাকে এমন একটি প্লাটফর্মে দেশ-বিদেশের সকল দর্শক শ্রোতাদের সামনে বাংলাদেশকে নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য। আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, এবং আরও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এই বিজয় দিবস পাওয়ার জন্য যেসব বীর বাঙালি জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি ও দুই লক্ষ মা-বোনদের প্রতি যাদের আত্মত্যাগে আমরা এই স্বাধীন বাংলা পেয়েছি। আমি ১৯৯৬ সালে ইউরোপে এসেছি এবং তখন থেকে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে চলা ফেরা করছি। আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি, আমি স্বাধীনতা দেখেনি, তার মত এমন বড় মাপের হিম্মতের অধিকারী মানুষ আর দেখেনি। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের এতো বড় ইতিহাস, তিনি যে কত বড় মাপের একজন দুঃসাহসিক মানুষ ছিলেন, সেটা আমি এখন পর্যন্ত কোথাও দেখতে পাইনি তাকে বাদে। সে জন্যই আমি আওয়ামী লীগ করি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজের মধ্যে ধারণ করি। এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য তিনি সহ তার পুরো পরিবার রক্ত দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যার প্রশংসা বলে শেষ করা যাবেনা। যুদ্ধের সময় সৌদি আরব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চায়নার মতো সেদিন যারা আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের অনেকেই আজ আমাদের বন্ধু। এটা বঙ্গবন্ধুর উদারতা ও 'সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়' - নীতির ফসল।