মেঘনায় বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১ শিশুর লাশ উদ্ধার
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৩৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় মোহাম্মদ হাসান নামে ৭ বছরের আরও এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নববধূসহ ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ শিশুসহ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ যাত্রী।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে টাংকিরখাল এলাকার মেঘনা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত হাসান নলেরচরের আল আমিন গ্রামের থানারহাট বাজারসংলগ্ন এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে। ঘটনায় এখনও নিখোঁজ যাত্রীরা হচ্ছেন, হাতিয়ার নলেরচর (চানন্দি) ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী জাকিয়া বেগম (৫৫), একই গ্রামের নার্গিস বেগম (৪), রুবেল হোসেনের মেয়ে হালিমা বেগম (৫), পূর্ব আজিমপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা বেগম (১), ভয়ারচর গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (২), ভোলার মনপুরার কলাতলী গ্রামের মাইন উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া বেগম (৩) ও একই গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে আলিফ উদ্দিন (২)।
কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বর যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির পর থেকে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড হাতিয়ার দুটি ও ভোলার একটি ডুবুরিদল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে টাংকিরখাল এলাকার মেঘনা থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশু হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপর নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলার মনপুরা উপজেলার কলাতলী গ্রামের বেলাল মিস্ত্রির ছেলে ফরিদ উদ্দিন বিয়ে করতে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামে আসে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকেল ৩টার দিকে ৭০-৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে চানন্দি ঘাট থেকে মনপুরার কলাতলী গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদীর টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচরের মাঝামাঝি এলাকায় তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা বর ও নববধূসহ সব যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে ওঠে এলেও বেশির ভাগ যাত্রী নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার ও নৌকার মাধ্যমে রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বরসহ অন্তত ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন। এদিকে ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত নববধূসহ ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।