দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন দিনাজপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালত। বিচারিক কার্যক্রম হিসেবে প্রথম দিন আসামির উপস্থিতিতে চার্জ গঠনের দিন ধার্য করা হয়। চার্জ গঠনের দিন ধার্য হয় আগামী ২৯ ডিসেম্বর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন ও দিনাজপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শাহ্ দোরখ শান্ (এডমিরাল)। আদালতে কার্যক্রম হিসেবে গতকাল দুপুরে আসামি রবিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী শহীদুর রহমান জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে। একই সাথে আসামিকে পুনরায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। এর আগে মামলাটি আমলী আদালত-৭ (ঘোড়াঘাট) এ তদন্ত কার্যক্রম শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালত-২, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে। মামলাটি প্রথম লিপিবদ্ধ করা হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে। সে সময় ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করে পুলিশ। এজাহার দায়ের সময় বাদি ছিলেন ইউএনওর ভাই মো. শেখ ফরিদ উদ্দিন। উল্লেখ্য, এই বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের উপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। পরে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে আটক করা হয় ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় রবিউল।