শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বেরোবিতে জাতীয় পতাকার বিকৃতি, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল!
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৩৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ

বিজয় দিবসে বিকৃত জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবিতে পোজ দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক।

বিজয় দিবসে বিকৃত জাতীয় পতাকা নিয়ে ছবিতে পোজ দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক।

মহান বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকা বিকৃত করে বিজয় দিবস উদযাপনের অভিযোগ উঠেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একদল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ভিন্ন রকম একটি পতাকা ব্যবহার করার বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই জন অধ্যাপক।

বিশ্ববিদ্যালয়টির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক এবং গণিত বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজনকে অপরাধী করে দাখিল করা তাদের এজাহারে সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় পতাকা বিকৃত, তা উপস্থাপন ও অবমাননার অভিযোগ এনেছেন।

বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষকদের তোলা ঐ ছবিটিতে যে পতাকাটি ব্যবহার করতে দেখা যায় সেটিতে সবুজ জমিনে লাল রঙের বৃত্তের পরিবর্তে চার কোণা একটি আকৃতি বসানো হয়েছে।

ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ব্যবহার করা পতাকার নকশায় পরিবর্তন আনার সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক জুড়ে। সামাজিক মাধ্যমে এর প্রতিবাদ এবং নিন্দারও ঝড় ওঠে।

এদিকে জাতীয় পতাকা বিকৃতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের পার্ক মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রংপুর মহানগর যুবলীগ এবং ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, রংপুর’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এমন পতাকা ব্যবহারের সমালোচনা করে ফেসবুকে এর আগে একটি পোস্ট দেন থানায় অভিযোগাকারীদের একজন - গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক। তিনি তার পোস্টে লেখেন, "আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। কারণ এরা সবাই শিক্ষক। বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা! পতাকার ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃত্ত না দিয়ে চারকোণার মতো আকৃতি দেয়া হয়েছে। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"

মাহমুদুল হক জানান, "বিশ্ববিদ্যালয়ের এটা একটা সেন্ট্রাল প্রোগ্রাম। এর পুরো দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষের। যারা করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের যারা এর সাথে রয়েছে তারা সবাই সমভাবে অপরাধী।"

আওয়ার ক্যাম্পাস নামে একটি গ্রুপ থেকে ছবিটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, "বিজয় দিবসে জাতীয় পতাকার নতুন মডেল উন্মোচন বেরোবি (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষকদের, আহা!আহা!"

তৌফিক-উর-রহমান নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী অন্য আরেকটি গ্রুপের পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, "বাহ!! জাতীয় পতাকার নতুন ডিজাইন!!"

কী বলছেন শিক্ষকরা?
জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মাসুদুল হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরিয়াল বডিরও একজন সদস্য। তাকেও এজাহারে অপরাধীদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মি. হাসান জানান, একদিকে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক, প্রোক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হিসেবে বিজয় দিবসে বেশ কয়েক দফায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে হয়েছে তাকে। ফুল দিতে গিয়ে অনেকের সাথেই আমাকে ছবি তুলতে হয়েছে।

তিনি বলেন, "হঠাৎ করে আমি আমার পেছনের দিকে খেয়াল করলাম যে কয়েক জন শিক্ষক পতাকা সদৃশ কিছু একটা নিয়ে ছবি তুলছে। তো আমি পেছন দিক থেকেই তাদের সাথে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম।"

তিনি আরও বলেন, কেউ যখন পতাকা নিয়ে ছবি তুলবে তখন সেটার মাপ-জোক যে ঠিক থাকবে না, সেটি তার মাথাতেই আসেনি। তিনি পতাকাটি সামনে থেকে দেখেননি বলেও জানান। রাত্রে ছবিটা দেখে নিজের থেকেই খারাপ লেগেছে"

তবে পতাকাটি কে বা কারা এনেছে সে বিষয়টি এখনো জানা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

ছবিটিতে ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষকই ছবি তুলেছেন। সবাই দাঁড়িয়েছে লাল-সবুজ পতাকা দেখে, এটি একটি ব্যানার হিসেবে। ছবি তোলার সময় তো আর এটা দেখা হয় নাই যে এটা ঠিক আছে কিনা।"

তিনি বলেন, "এটা কোন আনুষ্ঠানিক পতাকা না। আর এটা কোথা থেকে আসছে তা আমরা কিছুই জানতাম না। এটা উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। এটা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন এবং অনুতপ্ত। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা ভাইরাল করার কারণে মানুষ ভুল বুঝছে।"

এরই মধ্যে তারা এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তাবিউর রহমানসহ ৯ শিক্ষকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]