প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমরা আজ ৪৯ বছর পেরিয়ে ৫০ বছরে পা দিয়েছি। গত ৪৯টি বছর কখনও আমরা পিছিয়েছি একটুখানি, কখনও বা এগিয়েছি তার চেয়ে দ্রুতগতিতে। চূড়ান্ত সময়ে আজ আমরা দেখছি দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন দৃশ্যমান। বিশেষত গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের মহাকাব্যের অপর নাম শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যেসব উন্নয়ন হয়েছে এবং অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান আছে তাতে বিশ্ব আজ অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় মুখরিত আছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৯১তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (নীলদল) এর সভাপতি, লাইফ এন্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, জার্মানি আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, জার্মানি আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম খালেদ। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেদিন থেকেই মূলত আমরা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা এই লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধুকে এই কুচক্রীর দলরা সেসময়ও মেনে নিতে পারেনি আজও মেনে নিতে পারছেনা। বিজয়ের মাস আসলে একটি উগ্রবাদীর দল একটি কুচক্রীর দল হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তাদের মূল উদ্দেশ্য আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করা আমাদের স্বাধীনতাকে আবারও পরাধীনতার শিকলে বন্ধী করা। তারা আমাদের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারা পরাজিত শক্তির দোসর, তারা পরাজিত শক্তির বন্ধু হয়ে এখনো এই বাঙলার মাটিতে বিচরণ করছে। তারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, তারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সব সময় করে আসছে। আপনারা দেখেন, যুগ যুগ ধরে এই দেশে ভাস্কর্য আছে, এখানে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য। তারা কিন্তু সেখানে কিছু করছে না। আসলে এখানে ধর্মের নামে রাজনীতি করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। বর্তমানে জামায়াতে ইসলাম নামে যে রাজনৈতিক সংগঠন রয়েছে, ’৭২-এর সংবিধানে আইন করে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এসে বিভিন্ন দলকে রাজনীতি করার নামে আসলে জামায়াতকেই ফের প্রতিষ্ঠিত করে। জামায়াতের আমির নাগরিকত্বহীন গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এমন একটি অবস্থা নিশ্চিত করা হয়, যা কোনোভাবেই আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যারা ইসলামকে বিশ্বাস করে, প্রকৃত মুসলিম তারা কোন দিনই ধর্মের নামে এই ভাঙচুর, অসহনীয়ও আন্দোলন, হুমকির রাজনীতি, ধ্বংসের রাজনীতি করে না। এতো কিছুর পরও কিন্তু বাংলাদেশ থেমে নেই কারণ একটাই। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি লিডারশীপের কারণে। আজকে বিশ্বের অনেক জায়গায় তাকে নিয়ে গবেষণা করা হয়, কারণ এতো অল্প সময়ে, এতো দ্রুত উন্নয়ন বিশ্বের অন্য কোন নেতা দেখাতে পারেনি আগে। একটি দেশকে কিভাবে উন্নয়নের লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তার জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের নেত্রী। আজকে দেখেন আমাদের রিজার্ভ বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিশ্ব ব্যাংক যে গ্রোথ আশা করে তার থেকে কিন্তু আমরা প্রতিবারই এগিয়ে থাকি। তাই বিজয়ের এই মাসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক যেখানে আমরা এই ষড়যন্ত্রকারীদের দেখবো সাথে সাথে সেখানে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে এদের মূল উৎপাটন করতে হবে।