প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে দুই বছরের শিশু রাইসা হত্যার দায় স্বীকার করেছে দাদী সুমা খান। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে সুমা খান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন।
ওই স্বীকারোক্তিতে সুমা খান জানান, শিশু রাইসার বাবা রাজু খান তিন-চার বছর আগে নিজের চাচা আরমান খানের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়ে ইরাক চলে যান।দেই দিচ্ছি বলেও টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না রাজু খান। সেই পাওনা টাকা না পেয়ে গত সোমবার বিকেলে আরমান ও তাঁর স্ত্রী সুমা খান অপহরণের পর শিশুটিকে হত্যা করে বস্তায় ভরে লাকড়ির মাচায় লুকিয়ে রাখেন। সুমা খান সম্পকে রাইসার চাচাতো দাদি।
নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর সোমবার রাতে আরমান-সুমার বাড়ির রান্না ঘরের লাকড়ি রাখার মাচা থেকে শিশু রাইসার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার শিশুর মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেশী চাচাতো দাদা আরমান খান (৩৫),দাদি সুমা খানকে (২৫) মঙ্গলবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হলে সুমা খান হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে সুমা বলেছেন,রাইসাকে অপহরণ করে নিজেদের ঘরে আটকে রাখেন। রাইসাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তখন আরমানও অন্যদের সঙ্গে রাইসাকে খুঁজতে বের হন। রাইসা কান্নাকাটি শুরু করলে সুমা শিশুটির মুখ চেপে ধরেন।পরে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।লাশটি বস্তায় ভরে রাখেন। বাড়ির চারপাশে মানুষের আনাগোনা থাকায় বস্তাটি কোথাও ফেলতে পারেনি সুমা।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম জানান,আদালতে শিশু হত্যার দায় স্বীকার করে সুমা খান জবানবন্দি দেওয়ায় আদালত এই দম্পতিকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।