অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিজয়ের মাসে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এটা জাতির জন্য বড় প্রাপ্তি। এটা কিভাবে আরও কার্যকরভাবে সর্বোত্তম বিনিয়োগ করা যায় সে বিষয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টাডি করছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ আশা ব্যক্ত করেন।
রিজার্ভ বৃদ্ধি ও ব্যবহারে কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম ৩০ ডিসেম্বরের আগে রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাব, আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই তা নিয়ে যেতে পেরেছি। এটিই জাতির জন্য বড় পাওয়া। আমি মনে করি আমাদের কমিটমেন্ট আছে ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভকে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাব। হিসাব করেই বলছি এবং প্রত্যাশা করি সে লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারব।
তিনি আরো বলেন, রিজার্ভের মূল ভিত্তি হচ্ছে রেমিট্যান্স এবং এটি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে। যে সময় ব্যাংকগুলোর চাহিদার চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে তখন তা বাজারে বিক্রি করি। বাজারে বিক্রি করলে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে নেয় এবং মূলত এ কারণেই রিজার্ভ বাড়ে। জুলাই থেকে নভেম্বর পাঁচ মাসে ১১ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছি। বছরের টার্গেটের ৬০ শতাংশ পাঁচ মাসে চলে এসেছে। এই ফ্লো অব্যাহত রাখতে পারলে রিজার্ভ ফান্ড বেড়ে যাবে।
জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন ডলারের মতো পেমেন্ট করেছি, সেটাও ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ থেকে যাচ্ছে। সবকিছু যাওয়ার পরও ৪২ বিলিয়ন ডলার হাতে আছে। প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন- আমি মনে করি, এজন্য বাইরে ইনভেস্ট করলে ১ থেকে ২ শতাংশের বেশি আমরা পাই না।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি বিশ্বাস করে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে পারি এবং সেগুলো ডলারে রিসিভ করতে পারি তাহলে ফান্ড ফ্লো ইনটেক থাকল এবং আমাদের ইনকামটাও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।