প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, -০০০১, ১২:০০ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতিনিধি, বেরোবি
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মহান বিজয় দিবস-২০২০ পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বেরোবি কর্তৃপক্ষ। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২:০১ মিনিটে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। গতকাল বুধবার বিজয় দিবসের মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে। সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রোÑভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বেরোবি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি ভাইস চ্যান্সেলর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের এই দিনটি পর্যন্ত প্রাণের বিনিময়ে যারা দেশকে শত্রুমুক্ত করে বিজয় উপহার দিয়েছেন, সেই সকল বীর শহীদদের বাঙালি জাতি যুগ যুগ ধরে স্মরণ করবে। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। মহান বিজয় দিবসের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বেরোবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুল হক। এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগ, দফতর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকেও পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।