#যুদ্ধের স্মৃতি মনে পড়লে এখনো ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠি: কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
#১৬ই ডিসেম্বরের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি, আমরা বীরের জাতি: লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
#এই বিজয়ের মাধ্যমে আমরা একটি পরিচয় সত্তা পেয়েছি: ড. শ্রী বীরেন শিকদার।
#কুচক্রীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বিজয় দিবসকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া।
করোনা মহামারির মধ্যে ‘মুজিববর্ষে’ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে মানুষের এগিয়ে চলার মহামন্ত্র আজ বিশ্ববাসী শুনতে পাচ্ছে। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই একদিন পুরো বিশ্বজয় করবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৯০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী, সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, এমপি, সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, জার্মান দূতাবাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি কনস্যুলেট, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধন্যবাদ ভোরের পাতাকে আজকের এই দিনে আমাকে এই সংলাপের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করার জন্য। এবং ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসান, যিনি আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব, তিনি সেই ঠাকুরগাঁও থেকে তাবলীগ জামায়াতে বসে এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন। সেজন্য তাকেও বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। আজকের বিজয়ের এই দিনে সর্বপ্রথম স্মরণ করতে চাচ্ছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং এই বিজয়ের পিছনে যারা অর্থাৎ মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা তাদের জীবনের বিনিময়ে এই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আরও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিবারে নিহত সকল শহীদদের প্রতি। আমি যখন পাঠশালায় পড়তাম তখন ব্রিটিশ আমল দেখেছি, এর পরে দেখেছি পাকিস্তান আমল। এই বাঙালি ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে এই বাংলাদেশে স্বাধীনতা আনতে পেরেছি। আজকে বিজয়ের দিনে আরেকটা কীর্তি অর্জন হয়েছে আমাদের। সেটা হচ্ছে সিম্বল অফ লিডারশীপ, সিম্বল অফ ইন্টিগ্রিটি, সিম্বল অফ ট্রান্সপারেসি। তিনি হচ্ছেন আমাদের জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। যার নেতৃত্বে আমরা পদ্মা সেতু বিজয়ের একেবারে শেষের দিকে এসে পরেছি। আজকে বিজয়ের মাসে এই পদ্মা বিজয় আরেক বিজয় সূচিত হলো। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বিজয়- শব্দত্রয় বাঙালির কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, যে জাতির রয়েছে দীর্ঘকাল লড়াইয়ের ইতিহাস, সে জাতি কখনো পরাজয় মানে না। যেকোনো যুদ্ধে সে জাতি জয়ী হয়। মুজিব জন্মশতবর্ষে এসে বাঙালি তা আবারো প্রমাণ করেছে। এই মাসেই পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের সেতু পদ্মা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাঙালি এগিয়ে চলেছে লক্ষ্যপানে। বাঙালি যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল--সে লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে দৃঢ়তার সঙ্গে। আমরা যে কষ্ট করেছি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সে কষ্ট করবে না। সেই আনন্দ, সেই উল্লাস, সেই প্রত্যাশা থেকে আজকে আমি উৎফুল্লতা থেকে কথা বলতে পারছি এখানে। যুদ্ধের সে নয় মাস আমি যে কি কষ্ট করেছি সেই স্মৃতি মনে পড়লে আজও ঘুমের মধ্যে আঁতকে উঠি। আজকে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং আমরা আজকে এইটুকু বলতে চাই, স্বাধীনতা যার মাধ্যমে এসেছে তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তিনি সাড়ে তিন বছর আমাদের এই দেশটাকে শাসন করেছিলেন। তার শাসনামলে দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সকল সূচকের উন্নতি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি শেখ হাসিনাও নিজে আমাকে একদিন বলেছিলেন, ছিটমহল, ব্লু ইকোনমি থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জায়গায় আব্বার স্মৃতি আছে, আব্বার হাত আছে। আজকের এইদিনে শুধু একটি কথা বলতে চাই, আসুন, দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ভেদাভেদ ও সংকীর্ণতার চাদর ফেলে দিয়ে দেশ ও জাতি গঠনে এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আজকের বিজয়ের এই দিনে ভোরের পাতার ১৯০ তম সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ড. কাজী এরতেজা হাসান সাহেবকে এবং আজকের আলোচনায় আমন্ত্রিত সকল অতিথিদেরকে ধন্যবাদ। আজকে আমরা যখন বিজয় দিবস পালন করছি ঠিক একই সময় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। তাই সংলাপের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে, আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার পরিবারের নিহত সকল শহীদদের প্রতি ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বিজয় দিবস আমাদের জন্য একটা বিরাট আনন্দের বিষয়। ১৯৭১ সালের আজকের এইদিনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছিলাম আমরা বাঙালি বীরের জাতি। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন গরিলা যুদ্ধে মাত্র ৯ মাসে কেউ বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি। আমরা যদি পৃথিবীর অন্যান্য যুদ্ধের ক্যাম্পেইনের সাথে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের তুলনা করি তাহলে আমাদের যুদ্ধটা হবে বিরল। বঙ্গবন্ধু তার ৭ই মার্চের ভাষণে নিশ্চিত করে বলেছিলেন আমাদের যুদ্ধটা হবে গেরিলা যুদ্ধ এবং তার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ৯ মাস টানা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছি। সুতরাং এই যে বিজয়, এই বিজয় শুধু যুদ্ধ বিজয়। সেই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের নির্মমতা থেকে দেশে মানুষকে বাঁচানো এর থেকে আর বড় কিছু হতে পারে না আর। আজকে আমি কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেছিলাম সেই বিজয়ের দিনের। সে সময় যারা ঘরের মধ্যে আটকা ছিল তাদের মাঝে ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে যে আনন্দের বন্যা বয়েছিল সেটা আর ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। সেই বিজয় থেকে আজকের এই বিজয় দিবসকে আরও উদ্ভাসিত করেছে পদ্মা বিজয়। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করে তার এই মেয়াদে তাঁর সরকার বাংলাদেশকে দিয়েছে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে দাঁড়াবার সাহস। নিম্নআয়ের কাতার থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এ সরকারের অন্যতম বৃহৎ অর্জন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, তথ্যপ্রযুক্তিখাতে উন্নয়ন,পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, কয়লাভিত্তিক রামপাল থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প এবং সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি নিজের টাকায়। বিশ্ব ব্যাংকের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার একক সাহসের ফলশ্রুতি হচ্ছে আজকের এই পদ্মা সেতু।
ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, আজকে আমন্ত্রিত সকল সম্মানিত অতিথিদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আজকের এমন একটি খুশির দিনে ভোরের পাতা এতো সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে সংলাপের আয়োজন করেছে তার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজকে বিজয়ের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমারা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করা দাড়িয়ে আছি, গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ১৫ই আগস্টের সেই কালো রাতে তার পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ইজ্জত হারা মা বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। আজকে আমরা ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপন করছি। বিজয়ের এই দিনটি আমাদের জন্য আসলেই গৌরবান্বিত একটি দিন। বাঙালির জীবনে এক অনন্য গৌরবের ডিসেম্বরেই বাঙালি জাতি পায় তার লালিত স্বপ্নের স্বাধীনতা। আজকের এই বিজয়ের দিনে, আজকের এই আনন্দের দিনে, আজকের এই শুভ দিনে আমি আরও শ্রদ্ধা জানাই যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে এখন পর্যন্ত যারা কষ্ট, শ্রম ত্যাগ, তিতিক্ষা দিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি। পৃথিবীর কোন দেশ তাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এতো ত্যাগ-বিসর্জন দেননি। পৃথিবীর কোন দেশ তাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ইজ্জত হারা মা বোনদের আত্মত্যাগ দিতে হয়নি। আমরাই সেই ব্যতিক্রম জাতি যারা এই বিরল কাজটি অতি তাড়াতাড়ি করতে পেরেছি। আমরাই সেই গৌরবের অধিকারী। অনেক মূল্য দিয়ে কেনা আমাদের এই স্বাধীন দেশের বিজয়, অনেক মূল্য দিয়ে কেনা আমাদের এই স্বাধীন পতাকা। আজকের এই গৌরবের দিনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই বাংলাদেশ পেয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শুধু যে আমাদের এই স্বাধীন ভূখণ্ড এনে দিয়েছেন তা নয়, তিনি আমাদের একটি আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। বাঙ্গালীর স্বাধিকারের সংগ্রাম বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গড়ায় ১৯৭১-এ। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের এনে দিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা, স্বতন্ত্র ভূখণ্ড। এই চূড়ান্ত স্বাধীনতা লাভের প্রধান রূপকার হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫, মাত্র তিনবছর তিনি দিয়েছিলেন তার প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব। ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫ সপরিবারে নৃশংসভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। বাঙালি হাজার বছর পর্যন্ত নিজের কোন পরিচয় দিতে পারেননি। শুধু যে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি তা নয় আমরা একটি পরিচয় সত্তাও পেয়েছি এই বিজয়ের মাধ্যমে।
ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, আমার পূর্বের সম্মানিত বক্তাগণ যেভাবে এতো সুন্দর করে বিজয়ের বিশ্লেষণ দিয়ে গেছেন তার পরে আর কোন কিছু বলার নেই আমার। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জার্মানিতে থাকি তাই সব সময় আমার সাথে বিদেশীদের সাথেই যোগাযোগ বেশি হয়। আজকে বঙ্গবন্ধু একটি ভূখণ্ড দিয়ে গেছেন, একটি রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন, আমাদের একটি পরিচয় দিয়ে গেছেন। আজকে শেখ হাসিনা সেখান থেকে দেশের জন্য শুধু যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানসিক মুক্তি দিয়েছেন তা নয়, তিনই দেশে-বিদেশে প্রতিটা মানুষের মধ্যে একটা অন্যরকম সাহসিকতা তৈরি করেছেন দেশের ভাবাদর্শের প্রতি। আজকে এই আনন্দের দিনে, বিজয়ের দিনে আমাদের এই বিজয় দিবস উৎযাপনের পাশাপাশি এই বিজয়টাকে সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের আরও সাবধান থাকতে হবে আমাদের। আমাদের এই বিজয়টাকে আরও সংরক্ষণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর যে ৪টি নীতির উপর এই দেশটাকে স্থাপন করে দিয়ে গিয়েছেন, সেই কাঠামোটাকে আরও মজবুত করতে হবে আমাদেরকে। এইজন্য আমি মনে করি আমাদের দেশের মাদরাসা শিক্ষাটাকে আধুনিকরন করা খুবই জরুরী। আমাদের যারা মাদ্রাসায় শিক্ষা দেই তাদের সাথে ও আধুনিক গণতন্ত্রের সাথে যোগাযোগটা একেবারেই বিচ্ছিন্ন। এমনকি আমরা বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছি তারা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতটা কি, আমাদের জাতির পিতা কে তার সম্বন্ধেও কোন ধারণা নেই তাদের। ধর্মের নামে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা তাদের ওয়াজ-মাহফিলের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কিছু ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন যা এঁকে বারেই দেশদ্রোহিতার সামিল হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টিকে আমাদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।