১৬ই ডিসেম্বরের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি, আমরা বীরের জাতি: লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনা মহামারির মধ্যে ‘মুজিববর্ষে’ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে মানুষের এগিয়ে চলার মহামন্ত্র আজ বিশ্ববাসী শুনতে পাচ্ছে। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই একদিন পুরো বিশ্বজয় করবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৯০তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী, সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, এমপি, সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, জার্মান দূতাবাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনারারি কনস্যুলেট, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আজকের বিজয়ের এই দিনে ভোরের পাতার ১৯০ তম সংলাপে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ড. কাজী এরতেজা হাসান সাহেবকে এবং আজকের আলোচনায় আমন্ত্রিত সকল অতিথিদেরকে ধন্যবাদ। আজকে আমরা যখন বিজয় দিবস পালন করছি ঠিক একই সময় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। তাই সংলাপের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে, আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার পরিবারের নিহত সকল শহীদদের প্রতি ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বিজয় দিবস আমাদের জন্য একটা বিরাট আনন্দের বিষয়। ১৯৭১ সালের আজকের এইদিনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছিলাম আমরা বাঙালি বীরের জাতি। পৃথিবীর ইতিহাসে কোন গরিলা যুদ্ধে মাত্র ৯ মাসে কেউ বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি। আমরা যদি পৃথিবীর অন্যান্য যুদ্ধের ক্যাম্পেইনের সাথে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের তুলনা করি তাহলে আমাদের যুদ্ধটা হবে বিরল। বঙ্গবন্ধু তার ৭ই মার্চের ভাষণে নিশ্চিত করে বলেছিলেন আমাদের যুদ্ধটা হবে গেরিলা যুদ্ধ এবং তার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা ৯ মাস টানা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছি। সুতরাং এই যে বিজয়, এই বিজয় শুধু যুদ্ধ বিজয়। সেই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের নির্মমতা থেকে দেশে মানুষকে বাঁচানো এর থেকে আর বড় কিছু হতে পারে না আর। আজকে আমি কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেছিলাম সেই বিজয়ের দিনের। সে সময় যারা ঘরের মধ্যে আটকা ছিল তাদের মাঝে ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে যে আনন্দের বন্যা বয়েছিল সেটা আর ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। সেই বিজয় থেকে আজকের এই বিজয় দিবসকে আরও উদ্ভাসিত করেছে পদ্মা বিজয়। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করে তার এই মেয়াদে তাঁর সরকার বাংলাদেশকে দিয়েছে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে দাঁড়াবার সাহস। নিম্নআয়ের কাতার থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এ সরকারের অন্যতম বৃহৎ অর্জন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, তথ্যপ্রযুক্তিখাতে উন্নয়ন,পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প, কয়লাভিত্তিক রামপাল থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্প এবং সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্পসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি নিজের টাকায়। বিশ্ব ব্যাংকের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার একক সাহসের ফলশ্রুতি হচ্ছে আজকের এই পদ্মা সেতু।