ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করেছে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দলবল নিয়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে আসা জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে শহরের ফারুকী পার্কের সামনে এই ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শিবির নেতাকর্মীদের হাতে থাকা জাতীয় পতাকা ছিনিয়ে এনে মিছিল করেন জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে জামায়াত শিবিরের প্রেতাত্মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলঙ্ক ভিপি নূরের অনুসারী দল ছাত্র এবং যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে জামায়াত শিবিরকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ এই বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত করার জন্য জামায়াত শিবিরের প্রেতাত্মাদের ধাওয়া করেছে। তারা সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে স্বাধীনতার দিনে বিজয়ের এই স্মৃতিসৌধকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিল। তারা এখানে ফুল দেয়ার নামে জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের চেষ্টা করেছিল। আমরা তাদের প্রতিহত করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের মাহমুদ শ্রাবণ জানান, ছাত্র ও যুব অধিকার অধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহ্বায়ক ও সাবেক শিবির নেতা আশরাফুল, শিবির নেতা জিহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিবিরের সভাপতিপ্রার্থী জিহাদসহ কয়েকজন জামায়াত শিবিবের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দেশকে অস্থিতিশীল করতে ফুল দেয়ার নামে সংগঠিত হয়েছিলেন। তারা স্মৃতিসৌধে লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছে। এজন্য আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এই জামায়াত শিবিরকে প্রতিহত করেছি।
পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের ফারুকী পার্ক স্মৃতিসৌধের সমানে থেকে বিজয় মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে এসে শেষ হয়।
ধাওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, এত শিবিরের নেতাকর্মী কীভাবে একত্রিত হলেন সেই বিষয়টি অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ছাত্র ও যুব অধিকার অধিকার পরিষদের কারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।