তাপস বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমরা এখনো সকল সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারিনি। তাই বিজয়ের এই দিনে সকল সাম্প্রদায়িক শক্তিকে জাতিগতভাবে নিশ্চিহ্ন করতে আমাদেরকে নতুন করে প্রত্যয় নিতে হবে।’
‘যতদিন না পর্যন্ত এই প্রজন্ম এই দেশ থেকে সকল সাম্প্রদায়িক শক্তি, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন না করা যায়, আমাদেরকে সেই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে,’ বলেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র তাপস আরও বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছি। কিন্তু এখনো সেই সংগ্রামে বিপক্ষে যে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি যারা ছিল তারা এখনো রয়েছ। তাদেরকে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করা যায়নি।’
‘তবে আমরা দীর্ঘ ৪০ বছর পর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে পেরেছি, যুদ্ধাপরাধীদের প্রত্যাখ্যান করতে পেরেছি,’ বলেন তিনি।
দেশবাসীকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাপস বলেন, এই দিনটি আমাদের গর্বের দিন, এই দিনটি আমাদের আনন্দের দিন। বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা নিজ অর্থায়নে যেমনি পদ্মাসেতু করছি, তার সাথে সাথে একটি গর্বিত জাতি হিসাবেও আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছি। বিজয়ের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ সকল শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
পরে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে এবং নগর ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, ডিএসসিসি'র সচিব আকরামুজ্জামান, ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইউএনবি