প্রকাশ: বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:৩৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
তথ্য প্রযুক্তিখাতে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখাতে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। বিশ্ব চলে এসেছে হাতের মুঠোই। বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নিজস্ব স্যাটেলাইটধারী দেশ হিসাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তালিকায় ৫৭তম স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিস্তারের ফলে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসাবাণিজ্যের খাত বেড়েছে। দেশে তৈরি হয়েছে অনলাইনভিত্তিক বৃহৎ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। ই-কমার্স থেকে শুরু করে সরবে সচল এখন সব খাত। জোড়দার হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সনাক্ত করা যাচ্ছে অপরাধী। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে উন্নত হয়েছে শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতও। সব বিচারে বাংলাদেশ আগে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়ন সূচকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। অবস্থান করছে ১৪৪-এ। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে। করোনা মহামারীর (কোভিড-১৯) সময়ে যখন সব কিছু বন্ধ ছিল, তখন তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সচল রাখা গেছে অর্থনীতির চাকা। এসময় সব থেকে বেশি রেমিটেন্স অর্জন করেছে দেশ। এছাড়া নাগরিক সুবিধা ও সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেওয়া গেছে এ খাতকে কাজে লাগিয়ে। এক তথ্য বলছে, স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ টেলিমেডিসেন আওতায় চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রায় ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসে অংশ নিচ্ছে। ২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর যখন মানুষ ঘরবন্দি ছিল, তখন অনলাইনে কেনাকাটা করেছে অন্তত ৩০ শতাংশ মানুষ। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি উন্নয়ন সূচকে ২০১০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৮। এই অবস্থান ধাপে ধাপে এগিয়ে ২০১৫ সালে এসে হয় ১৪৪তম। অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম কোরসেরা তাদের বৈশ্বিক স্কিল বেঞ্চমার্কিং বা দক্ষতা নির্ণায়ক প্রতিবেদন বৈশ্বিক দক্ষতা সূচক বা ‘গ্লোবাল স্কিলস ইনডেক্স ২০১৯’ (জিএসআই) এ বলা হয়েছে অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো ক্ষেত্রে ভালো করছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ বছরে আইসিটি বিভাগের অধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থা ও এটুআই প্রোগ্রামের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা, বিধিমালা ও পরিকল্পনা। জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের হলোগ্রাফিক প্রোজেকশন রূপান্তর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘মুজিব হান্ড্রেড’ ওয়েবসাইট এবং ‘মুজিববর্ষ’ লোগো তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যালোইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের এলিট ক্লাবের সদস্য হওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৭ বিলিয়ন ডলার জিডিপির দেশ বানানোর লক্ষে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, সপ্তম থেকে দাদ্বশ শেণি পর্যন্ত স্কুল অব ফিউচার, ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টারসহ সারা দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্ক তৈরির কাজ চলছে, যেখানে ডিজিটাল ডিভাইস, সফটয়্যার, হার্ডওয়্যার তৈরি করা হবে। এছাড়াও লার্নিং ক্লাসের মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। ফলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে, কেউ আর বেকার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন।
পলক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন, তাতে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।’