শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নে রিমা আক্তার (১৩) নামে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি। এই বিষয়ে রিমা আক্তারের বাবা বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ১৩।
মামলার দন্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিরা দণ্ডপ্রাপ্ত চুন্নু মোড়লের ভাই বেলাল মোড়ল, দুলাল মোড়ল মামলার বাদিকে অনবরত বিভিন্নভাবে হুমকি, ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। হুমকি দিয়ে তারা কিছু করতে না পারায় আসামি চুন্নু মোড়লের ছোট ভাই দুলাল মোড়লের বন্ধু কথিত সাংবাদিক মেরাজকে দিয়ে ‘জাজিরায় রিমা হত্যা মামলার আসামি পক্ষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ’ শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।
আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে রিমার বাবা ইলিয়াস চোকদার টাকার বিনিময়ে মামলা মিটিয়ে নিয়েছে।
তবে এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস চোকদার গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিদের পরিবারের প্রভাবশালী সদস্যরা আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। আসামিদের পরিবারের সাথে আমাদের মামলা মিমাংসা বিষয়ে কোন কথা হয়নি।
এলাকায় তাদের নিজস্ব নতুন বানোয়াট ষড়যন্ত্র করা শুরু করেছে। তাদের এই নতুন ষড়যন্ত্র থেকে আমি রেহাই চাই। এবং তাদের প্রকাশিত মিথ্যা অপবাদ মূলক সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।
নিরিহ ইলিয়াস চোকদার তার একমাত্র মেয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসির কার্যকর দাবি করেন।
উলেখ্য, ২০১৭ সালে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পানির সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রিমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ঘাতকরা। পরে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। এরপর পালাক্রমে যৌন নিপিড়ন চালায় রিমাকে। একপর্যায়ে নুরু মোড়ল ও চুন্ন মোড়ল মিলে রিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মৃতু নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাত-পা ও পেট কেটে লাশ মুড়িয়ে সপ্নার বাড়ি খাটের নিচে রেখে দেয়। ২দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ১ কিলোমিটার দুরে নিয়ে একটি পরিত্যাক্ত ভিটার মধ্যে ফেলে দেয় সেলিম চৌকিদার সহ বাকি আসামিরা।