প্রতারণার মামলায় সাবরিনা-আরিফের বিরুদ্ধে আরো ২ জনের সাক্ষ্য
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জানা যায়, সাবরিনা ও আরিফুলের নির্দেশে অপর আসামিরা রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং জাল কোভিড-১৯ রিপোর্ট তৈরি করে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে এ সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন- ডা. তাহমিদুল ইসলাম ও মোসা. লিজা বেগম।
এর আগে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এ সময় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবরিনাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এর আগে গত ২০ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন। এরপর গত ২৭ আগস্ট মামলার বাদী মো. কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াদ অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলি করেন। এ মামলায় গত ৫ আগস্ট করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় সাবরিনা ও আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা। সেখানে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে।
জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা উদ্ধার করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রতারণার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনা চৌধুরী জামিন পেয়েছেন। তবে করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় কারাগারে থাকায় এখনি মুক্তি মিলছে না।