প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:২৯ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা অপেক্ষাকৃত ব্যয়বহুল ও চ্যালেঞ্জিং হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে নতুন এক গবেষণায় তুলনামূলক সস্তা ও কার্যকর এক সমাধান খুঁজে বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এ ভাইরাস শনাক্তে কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কাজে লাগানো যেতে পারে। এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গত রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিটিভি নিউজ। বিশেষ করে প্রশিক্ষিত কুকুর মানুষের ঘামে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত করতে অত্যন্ত কার্যকর।করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে কুকুরের ব্যবহার নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। নতুন এই গবেষণা বিষয়টিকে আরও জোরালো করে তুলেছে। গবেষকরা বলছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় প্রশিক্ষিত কুকুর একটি ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।গবেষণার অংশ হিসেবে ফ্রান্স ও লেবাননে করোনা আক্রান্ত রোগীদের গন্ধ শনাক্ত করতে এক মাসের জন্য ছয়টি কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গবেষকরা ১৭০ জনেরও বেশি মানুষের ঘামের নমুনা সংগ্রহ করেন। তাদের প্রায় অর্ধেকই করোনা পজিটিভ ছিলেন। গবেষকরা দেখতে চেয়েছেন কুকুর কোভিড পজিটিভ ও কোভিড নেগেটিভ রোগীদের আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে কিনা।ন্যূনতম প্রশিক্ষণের সময়েই কুকুরগুলো ৭৬ শতাংশের বেশি নমুনা শনাক্ত করতে সমর্থ হয়। ঘ্রাণ শুঁকে ক্যানসার শনাক্তের জন্য ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুইটি কুকুরের কোভিড-১৯ শনাক্তের ক্ষেত্রেও শতভাগ পারদর্শিতা দেখিয়েছে। প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো মুহূর্তেই এটি শনাক্ত করতে পারে।কুকুরগুলো মানুষের লালা ও প্রস্রাবের নমুনা থেকে করোনা শনাক্ত করতে পারে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে এখন আরও গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন ফ্রান্সের ন্যাশনাল ভেটেরিনারি স্কুল অব অ্যালফোর্টের অধ্যাপক ডমিনিক গ্রানডিজান। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছিল এটি অসম্ভব। কিন্তু এখন আমার কাছে মনে হয়, এটি সবচেয়ে ভালো পরীক্ষাগুলোর একটি।’অধ্যাপক ডমিনিক গ্রানডিজান বলেন, কুকুর আসলে ভাইরাসের ঘ্রাণ পায় না। তারা কিছু অণুর গন্ধ পায় যা ভাইরাস দ্বারা উৎপাদিত হয়।অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে অবশ্য এরইমধ্যে করোনা শনাক্তে কুকুর ব্যবহারের প্রচলন শুরু হয়েছে।