জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর এবং তাকে অবমাননা করে দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সরকারের অবসরপ্রাপ্ত শতাধিক সচিব। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব, সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরীর স্বাক্ষরে সরকারের সাবেক একশ একজন আমলা গতকাল সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান। সেখানে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি স্পন্দনে আমরা বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে পাই। আমাদের অস্তিত্বের অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ এ সব বিষয় কারো সাথে কোন আপোষ নয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যেও বিরোধীতা এক কথায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে অবমাননার নাম। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, একটি স্বার্থান্বেষী, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যশিল্পের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং তার ভাস্কর্যের অবমাননার অপচেষ্টা করছে।
সম্প্রতি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি স্বার্থান্বেষী, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য শিল্পের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে এবং তার ভাস্কর্যের অবমাননার অপচেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, তারা কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, যা কেবল ধৃষ্টতা নয়, বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার নামান্তর। আমরা বিশ্বাস করি, এই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ও উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ‘৭৫-এর ঘাতকদের দোসর। আমরা অবিলম্বে এই ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত কর্মকা-ে যুক্ত সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। একই সঙ্গে ভাস্কর্য-শিল্প তথা সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থানকারী মৌলবাদের মূলোৎপাটনের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনলগ্নে স্বাধীনতাবিরোধী, উগ্রবাদী অপশক্তির এই সংস্কৃতিবিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহ কর্মকা- বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রতির অভিযাত্রাকে ব্যাহত করার একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি বাংলাদেশের সব নাগরিকের সচেতন ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
বিবৃতি দেওয়া সাবেক আমলারা হলেন- এম আজিজুর রহমান, কাজী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, মো. আবুল কালাম আজাদ, কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মো. নজিবুর রহমান, মো. আব্দুর রব হাওলাদার, নজরুল ইসলাম, হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, কামরুননেসা খানম, মো. জিয়াউল ইসলাম, খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, কাজী আখতার হোসেন, ড. মো. মাহফুজুর রহমান, উজ্জল বিকাশ দত্ত, মো. আজিজুর রহমান, শফিক আলম মেহেদী, কানিজ ফাতেমা, মিজানুর রহমান, ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, মোহাম্মদ গোলাম কুদ্দুস, মনোয়ার ইসলাম, আ অ ম আবদুর রহমান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন খালিদ, কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ, নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, ড. মো. শামসুদ্দোহা খন্দকার, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, মো. গোলাম হোসেন, মো. শফিকুল ইসলাম পটোয়ারী, মো. শাহ আলম খান, মো. নাসিরউদ্দিন, মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন, কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, এ কে এম শামীম চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, আরাস্তু খান, শাহীন খান, কাজী শফিকুল আযম, ড. এম আসলাম আলম, মেজবাউল আলম, মাহবুব আহমেদ, শুভাশীষ বসু, মো. বশির উদ্দিন আহমেদ।
সৈয়দ মো. আমিনুল করিম, এম এ কাদের সরকার, মো. আলাউদ্দিন, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, মো. মনসুর আলী সিকদার, মনোজ কুমার রায়, খন্দকার আখতারুজ্জামান, শাহজাদী আঞ্জুমান আরা, শাহ কামাল, অশোক মাধব রায়, প্রশান্ত কুমার রায়, ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, মো. আবু তাহের, ধীরাজ মালাকার, হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার, এম এ হান্নান, গোলাম রব্বানী, শ্যামল কান্তি ঘোষ, ইউনুসুর রহমান, খন্দকার ইফতেখার হায়দার, দিলরুবা, শেলীনা আফরোজ, শিরিন আখতার, মো. কায়কোবাদ, নুরুন নবী তালুকদার, ইকবাল খান চৌধুরী, মিকাইল শিপার, মো. আবুল কালাম আজাদ, খোরশেদ আলম চৌধুরী, মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ। এছাড়া আরও রয়েছেন- বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মো. ফখরুল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, মো. নজরুল ইসলাম খান, শাহজাহান আলী মোল্লা, মো. গোলাম ফারুক, মো. সিরাজুল ইসলাম, শ্যাম সুন্দর সিকদার, মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী খান, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. খিজির আহমেদ, মো. শামসুজ্জামান, ড. মাহমুদুর রহমান, মো. আকতারুজ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান, মো. মশিয়ার রহমান, আকরাম আল হোসেন, কামাল উদ্দিন তালুকদার ও শামসুর রহমান।