করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জরুরি ছয় নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে নিয়মিত শ্রেণি পাঠদান চালানো ও সার্বিক যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফরের ওই নির্দেশনায়। গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সব অঞ্চলের পরিচালক ও উপ পরিচালক, সরকারি-বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সব জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জরুরি ছয় নির্দেশনা হলো :
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রচার কার্যক্রম চালাবে। ২. কর্মস্থলে সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করবেন। ৩. শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যেকোনো কর্মপরিচালনা করবেন। ৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।  
৫. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলায় ঊর্ধ্বতন/অধস্তন কর্মকর্তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। ৬. সেবা গ্রহণকারীরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরাসরি অফিসে না এসে ডাকযোগে অথবা অনলাইনে কার্য সম্পাদন করবেন।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে। তা ছাড়া চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বর্তমানে জন্য অনলাইন ও টিভিতে ক্লাস নিচ্ছেন অধিকাংশ শিক্ষক। অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে তার মূল্যায়ন করার জন্য শিক্ষার্থীদের জোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শেষ করবে বলে আশা করছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর সেই ভাবে সব কিছু এগিয়ে চলছে।