প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:১৮ পিএম আপডেট: ১৫.১২.২০২০ ১:৫৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
নেত্রকোনায় দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৫ আসামি খালাস পেল হাইকোর্টে। আপিলের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম মোজাম্মেল হক রানা সিদ্দিকী ও আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান রহি জানান, দেড় যুগ আগে নেত্রকোনার পূর্বধলায় এক কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে দায়ের হয় মামলাটি। নিম্ন আদালত পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদ-ের রায় দেওয়াও হয়েছিল। গতকাল সেই আসামিরা হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে খালাস পেয়েছেন।
আসামিরা হলেন- কালডোয়ার গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে শামীম, মন্তোষ রংদির ছেলে ভিকন ও টিকন, মৃত নরেন্দ্র শ্যামের ছেলে তাপস, বুধি গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রূপ মিয়া। গতকাল এ রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। ডেথ রেফারেন্স ও এ সংক্রান্ত জেল আপিলের শুনানির পর এ রায় দেন হাইকোর্ট। তবে এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোজাম্মেল হক রানা বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বরাবরে নোট দেয়া হবে এ রায়ের বিষয়ে আপিল করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য। এ রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম মোজাম্মেল হক রানা সিদ্দিকী এবং আসামিপক্ষে ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ, এ এম মাহবুব উদ্দিন, বজলুল কবির, আফিল উদ্দিন, সাকিব মাহবুব ও সাইফুর রহমান রাহি এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় সব আসামিদের হাইকোর্ট খালাস দিয়েছেন। এছাড়া মেডিকেল রিপোর্ট যথাযথ না হওয়াই এমন ঘটনা ঘটেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ২০ জুলাই নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলায় এক কিশোরীর মা ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে পূর্বধলা উপজেলার সাত্যাটি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে পথে পূর্বধলার কুমারকালী ব্রিজে আসামিরা তাদের রিকশার গতিরোধ করেন। এ সময় কিশোরীর মা ও দুলাভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। এরপর আসামিরা ওই কিশোরীকে নির্জনস্থানে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। পরের দিন ২১ জুলাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী।