রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ইতিহাসের বিষাদময় দিনে সূর্যসন্তানদের স্মরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:১৮ পিএম আপডেট: ১৫.১২.২০২০ ১:৫৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

দেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার সূূচনালগ্নে সূর্যসন্তানদের হারানোর বিষাদময় সেই দিন ফিরে আমাদের মাঝে এসেছে আবার। আমাদের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সেই শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রত্যয়ে শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠেছে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শেষ ভাগের এই দিনে এদেশের পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের সহযোগিতায় হত্যা করেছিল শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীদের। এরপর স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে পরাজিত শক্তির বিষদাঁত উপড়ে ফেলার লক্ষকে সামনে নিয়ে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ ভাগে এদেশের দোসরদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনী হত্যা করেছিল শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ হাজারো বুদ্ধিজীবীকে। সেই থেকে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, পালন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে।

দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে। তার পক্ষে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এসময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সামরিক কায়দায় সালাম জানায়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মন্ত্রিসভার প্রতিনিধিরা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির মেধাবী সন্তানদের স্মরণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১৬ আসনের সাংসদ ইলিয়াস মোল্লা, ঢাকা -১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ভোরেই মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

অন্যবছর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান চলে যাওয়ার পর সর্বস্তরের জনগণের জন্য মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়, এবার সেই বিধিনিষেধ সেভাবে ছিল না। পাতাকা আর ফুল হাতে সকাল থেকেই নানা বয়সের মানুষ জড়ো হন শহীদ বেদিতে। রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিও সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষের ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া এ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে। আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে। মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি পালিত হবে।

ইসলাম ধর্মের কথা বলে ভারত ভাগের পাকিস্তান নামের রাষ্ট্র পরিচালকরা বাঙালিদের দিয়েছে শুধুই অর্থনৈতিক শোষণ-নিপীড়ন। তারই প্রতিবাদে মাথা তুলে দাঁড়ায় বাঙালি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক আঙগুলের ডাকে সারা দিয়ে জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রামে। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির ছিনিয়ে আনে বিজয়। ঠিক তখনই পরাজয় নিশ্চিত জেনে ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকা-। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

তাদের শরীরের ওপর চলে নিষ্ঠুর নির্যাতন। ছোট ছোট শিশুদেও সামনে বাবা-মাকে নিয়ে গিয়ে গুম করে হত্যা করা হয়। অবশেষে ফেলে দেয় দেশের বিভিন স্থানে। যার চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তাদেরই স্বরণে বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। সেই অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত করে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়েছে বাংলাদেশ। কলঙ্ক মোচনের পথে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ এখন গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিরও দাবিদার। এবারের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস অন্যান্যবারের থেকেও বিশেষভাবে স্বরণীয়। ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে বাংলাদেশ। আগামী বছর স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]