রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় আমাদের সবাইকে একত্রিত হতে হবে: ড. নূর রহমান
সিনিয়র প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

‘মুজিববর্ষ’ ও করোনা মহামারির মধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনন্য মুহূর্ত এসেছে। আমরা স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নির্মম মৃত্যুর করতলে প্রাণ দিয়ে আজো যারা দিশারি তাঁদের অবদানকে। বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ঘটে এক মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ। তারা বেছে বেছে অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৮৮ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর উপাচার্য  অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ব্রুনাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা, অস্ট্রেলিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের  সাবেক সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রনেতা ড. নূর রহমান, এফবিসিসিআই এর পরিচালক (শহীদ পরিবারের সন্তান) শমী কায়সার। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

ড. নূর রহমান বলেন, আজকে ঐতিহাসিক বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করার জন্য, জাতিকে নেতা শূন্য করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের প্রাক্কালে আমাদের দেশের সূর্য সন্তানদের একটি লিস্ট তৈরি করে রাজাকার, আলবদর, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা তাদেরকে বেছে বেছে হত্যা করে। এই সূর্যসন্তানরাই জাতির যেকোনো বিপর্যয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। পাকিস্তানি শাসক ও শোষক চক্রের অন্যায় অত্যাচার ও শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে তারা ছিলেন দিকনির্দেশক এবং সোচ্চার কণ্ঠ। বুদ্ধিজীবীরা কেউই কিন্তু রাজনীতিবিদ ছিলেন না, মিছিলের মুখ ছিলেন না অনেকে। অথচ স্বাধীনতার ঠিক আগ মুহূর্তে হত্যা করেছিল শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক এমন অনেককেই। বুদ্ধিজীবীরা রণক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক, নৈতিক মনোবল ধরে রাখতে সহায়তা, সাহস জোগানো এবং জনগণকে শত্রুর বিরুদ্ধে দুর্দমনীয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এক কথায় যদি বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশকদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবীরাই ছিল অগ্রভাগে। আমারা যদি এখনো লক্ষ্য করি, আমাদের দেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এইদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠন করার উদ্দেশ্যে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ছিলেন একমাত্র লিডার যিনি কিনা সমগ্র বাংলাদেশের সবাইকে একটি ছায়াতলে নিয়ে এসেছিলেন। বুদ্ধিজীবীরা আজ বেঁচে থাকলে হয়ত স্বাধীন বাংলাদেশে পরাজিত শক্তি আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ পেত না। স্বাধীনতার অর্ধ দশক পর বাংলার রাজনীতিতে তাদের উত্থান হত না।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]